এবার চাকরি ফেরানোর দাবিতে বিকাশভবন ঘেরাও করলেন চাকরি হারা যোগ্য শিক্ষকরা। হলো পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি। ভাঙলো বিকাশ ভবনের গেট। তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্তের নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে বচসা থেকে হাতাহাতিও হলো বিকাশ ভবনের গেটের বাইরে।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক- চাকরি ফেরানোর দাবিতে বিকাশভবন ঘেরাও করেন চাকরি হারা শিক্ষক শিক্ষিকারা। বিকাশভবনের গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে বিক্ষোভ দেখান চাকরি হারারা। ব্যাপক দূর্নীতির অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বাতিল হয়েছে ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেল। যাতে চাকরি হারা হয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষা কর্মী। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের চাকরি ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল রয়েছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট এও নির্দেশ দিয়েছে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে পরীক্ষা নিয়ে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে । তার আগে ৩১ মে-র মধ্যে এসএসসি-কে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। কিন্তু নতুন করে পরীক্ষায় বসতে নারাজ চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকারা।
বেশ কিছুদিন ধরে লাগাতার বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান করছে চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকারা। বৃহস্পতিবার বিকাশভবন ঘেরাও এর ডাক দেন তারা। চাকরি ফেরানোর দাবিতে বিকাশভবন ঘেরাও-এর ডাক দেওয়া হয়। চাকরিহারাদের আন্দোলনের জেরে পুলিশ অনেকটাই নিস্ক্রিয় ছিল। পুলিশের বাধার পরেও গেটের তালা ভেঙে ভেতর ঢোকেন আন্দোলনকারীরা। এনিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় আন্দোলনকারীদের। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির সময় বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে জানা গেছে। চাকরি হারাদের সাফ কথা, নতুন করে পরীক্ষায় তারা বসবেন না। রাজ্য সরকারের জন্য তাদের চাকরি গিয়েছে, রাজ্যকেই সেই চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে।
আন্দোলন চলাকালীন সেখানে বিধাননগর পুরনিগমের চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত আসায় আন্দোলন এক অন্য মোড় নেয়। সব্যসাচীকে দেখে ক্ষোভে আছড়ে পড়ে চাকরিহারাদের। এমন কি সব্যসাচীকে ধাক্কাও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ । তাঁকে ভিড়ের মধ্যে থেকে বের করে নিয়ে যেতে রিতিমত হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। এই সময় সব্যসাচীর দেহরক্ষীর সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় চাকরিহারাদের। বহিরাগত কয়েকজন চাকরি হারাদের উপর চড়াও হয়। চড়, ধাপ্পার ও হেলমেট দিয়ে চাকরি হারাদের মারেন বলেও অভিযোগ। ঘটনাস্থলে আসার কারণ হিসেবে সব্যসাচী জানান, “আমি আমার কাজে এসেছিলাম। কিছু জানি না। পুলিশ আমাকে ঢুকতে বারণ করেছে। ওরা একটা আন্দোলন করছে। বিষয়টি রাজ্য সরকার দেখছে। মুখ্যমন্ত্রী রিভিউ পিটিশন করেছেন। ওদের আবেগকে সম্মান দেওয়ার যথাযথ চেষ্টা হচ্ছে। আদালতের ঊর্ধ্বে নই আমরা। আদালত যা বলেছে সেই মত কাজ করা হচ্ছে।” বলে জানান তিনি।