বৃহস্পতিবার দিনভর উত্তপ্ত ছিল বিকাশ ভবন রাতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। তুমুল ধ্বস্তাধস্তি শুরু হয় পুলিশ এবং আন্দোলনকারীদের মধ্যে। শুক্রবার সকালেও এই একই অবস্থা। ফের ব্যারিকেড দেয় পুলিশ এবং তার সামনেই লাগাতার স্লোগান দিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক: শুক্রবার সকাল থেকেই বিকাশ ভবনের সামনে মোতায়েন রয়েছে অনেক পুলিশ। তারা ব্যারিকেড করে রেখেছে মূল গেটের সামনে। শুধুমাত্র বিকাশ ভবনের কর্মচারী ছাড়া অন্য কেউ ভেতরে ঢুকতে না পারেন, সেই দিকে কড়া নজর রাখা হয়েছে। প্রত্যেক কর্মীর পরিচয়পত্র যাচাই করার পরই বিকাশ ভবনে ঢোকার অনুমতি মিলছে। বিকাশ ভবনের কর্মীদের যাতে ঢুকতে বা বার হতে অসুবিধা না হয়, তারও ব্যবস্থা করছে তারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে র্যাফ নামানো হয়েছে।
অন্যদিকে আন্দোলনকারীরাও নিজেদের দাবিতে অনড়। তাদের একই দাবি, ওএমআর শিটের মিরর ইমেজ প্রকাশ করতে হবে। তারা জানিয়েছেন, তাদের উদ্দেশ্য শান্তিপূর্ণ। শুক্রবার সকাল থেকেই নতুন করে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা। সরকারি কর্মচারীদের কাজে বাধা দান-সহ একাধিক ধারায় চাকরি হারা শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে বিধাননগর পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এক আন্দোলনকারী আহত হন। বাধা পান সজল ঘোষ, কৌস্তভ বাগচীরাও। লাগাতার প্রতিরোধের সামনেও আন্দোলনকারীরা ভেঙে পড়েননি। এই তীব্র গরমে যেহেতু তারা অবস্থান বিক্ষোভ করছেন তাদের জল খাবারের আয়োজন করে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে অভয়া মঞ্চও। এবার দেখার এই জটিলতার অবসান কবে হয়।