খিদে না পেলেও খেয়ে নেওয়া হয় অর্থাৎ মস্তিষ্ক বুঝতে পারে না খাবারের আদৌ প্রয়োজন কিনা! যার ফলস্বরূপ দেখা যায় ভুঁড়ি হওয়া, চর্বি বেড়ে যাওয়া এমনকি ওজন বাড়ার মতো ঘটনা। তবে এমন অনেক খাবার আছে যা ভাজাভুজি খাওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেবে।
সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- পেট ভরে খাওয়ার পরেও অনেকের কী খাই, কী খাই ইচ্ছে হয় যা শরীরের জন্য খুবই খারাপ। বিশেষ করে ভাজাভুজি খাওয়ার প্রবণতা বেশি হয় এই রকম সময়। এটাকে ঠিক খিদে নয়, চোখের খিদে বলে। যা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। কারণ এই সময় খিদে না পেলেও খেয়ে নেওয়া হয় অর্থাৎ মস্তিষ্ক বুঝতে পারে না খাবারের আদৌ প্রয়োজন কিনা! যার ফলস্বরূপ দেখা যায় ভুঁড়ি হওয়া, চর্বি বেড়ে যাওয়া এমনকি ওজন বাড়ার মতো ঘটনা। তবে এমন অনেক খাবার আছে যা ভাজাভুজি খাওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেবে। ফলে ওজন বৃদ্ধি বা চর্বি হওয়া রোধ করা সম্ভব। দেখে নেওয়া যাক কোন কোন খাবার রয়েছে এই তালিকায়।
ডিম: অযথা উল্টোপাল্টা খাবার খেয়ে ওজন বাড়া থেকে রাশ টানতে পারে ডিম। সেদ্ধ ডিম খাওয়া যায়। সবজি দিয়ে ডিমের অমলেট খাওয়া যেতে পারে। ডিমে থাকে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। শরীরের প্রয়োজনীয় প্রোটিনের জোগান দেয় ডিম। সেদ্ধ, পোচ, অমলেট যে কোনও উপায়ে ডিম খাওয়া যায়। ডিম খেলে এই সমস্যা অনেকটাই সমাধান করা যায়।
ওটস: ভরপুর ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার হল ওটস। ওটস খেলে দীর্ঘ সময় পেট ভর্তি থাকে। ফলে ভুলভাল খাবার খাওয়া এড়িয়ে যাওয়া যায়। স্মুদি, চিলা, প্যানকেক বা খিচুড়ি যেভাবে ইচ্ছা ওটস খাওয়া যেতে পারে।
আপেল: মুখরোচক খাবার খাওয়ার ইচ্ছা হলে তা নিয়ন্ত্রণ করে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। এই ভাবনা মনে আনলেই ভাজাভুজি এড়িয়ে যাওয়া যায়। মুখ চালানোর জন্য আপেল অন্যতম ভাল খাবার। আপেলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং নানা রকমের পুষ্টিগুণ। ন্যাসপাতি, তরমুজের মতো ফল কিংবা গ্রিন স্যালাডও স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী। অনেকটা সময় পেটকেও ভর্তি রাখে।