হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আর বিদেশি পড়ুয়া ভর্তি করানো যাবে না, ট্রাম্পের এহেন নির্দেশের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল কর্তৃপক্ষ। এবং তাতেই মিলল স্বস্তি। শুক্রবার বস্টনের ফেডারেল আদালত বিদেশি পড়ুয়া ভর্তি না করার নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক: আদালতের এই নির্দেশের পর হার্ভার্ডে পড়াশোনার ক্ষেত্রে আপাতত কোনও বাধা রইল না আমেরিকার বাইরের ছাত্রছাত্রীদের। আদালতের এই নির্দেশে স্বভাবতই দমবন্ধ পরিস্থিতি বদলে খোলা হাওয়ায় আনন্দে মেতে উঠেছেন পড়ুয়ারা। ট্রাম্পের নির্দেশের পর তারাও ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় ছিলেন।
বিদেশি পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই আদালতের দ্বারস্থ হয় বিশ্ববিদ্যালয়। মামলাটি বস্টন ফেডারেল আদালতে শুনানির জন্য উঠলে হার্ভার্ডের তরফে স্পষ্ট জানানো হয় বিদেশি পড়ুয়া ছাড়া হাভার্ড যেন হাভার্ডই নয় তাই একটা কলমের আঁচড়ে একটা সিদ্ধান্তের জেরে ছাত্রসমাজের এক চতুর্থাংশ এভাবে মুছে যেতে পারে না কখনই। সরকার তো সেই পদক্ষেপই নিচ্ছে। সওয়াল-জবাব শুনে বিচারক অ্যালিসন বরোস ট্রাম্প প্রশাসনের ওই সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দেন।
উল্লেখ্য হার্ভার্ডের পরিচালন পর্ষদের প্রেসিডেন্ট অ্যালান এম গার্বার বলেন, “সরকারের এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাক্ষেত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ এবং এটি বেআইনি ও অসাংবিধানিক।” তাই এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়া হবে। এই মুহূর্তে প্রায় ৮০০ ভারতীয় পড়ুয়া আছেন হাভার্ডে, বাকি বিদেশির সংখ্যাও অনেক।
হার্ডার্ভ ক্যাম্পাসে প্যালেস্তাইন পন্থী ও ইজরায়েল বিরোধী ছাত্র বিক্ষোভের পর থেকেই হার্ভার্ড-সহ আমেরিকার একাধিক ক্যাম্পাসে একেবারে কড়া চোখে তাকাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন৷ বাতিল করে দেওয়া হয়েছে সরকারি অনুদানও৷ এমন পরিস্থিতিতে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তাঁদের বিদেশি পড়ুয়াদের বিস্তারিত বিবরণ সমেত একটি তালিকা চেয়েছিল ট্রাম্প সরকার৷ আদালতের এহেন নির্দেশের পর পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সেটাই এখন দেখার।