গ্রেফতার করা হয় ২ জনকে। তাদের নাম ইরফান বসির এবং উজাইর সালাম। ধৃতরা লস্করের সদস্য। মূলত ওভার গ্রাউন্ড ওয়াকার হিসাবে কাজ করত। তাদের কাছ থেকে ২টি একে ৫৬ রাইফেল, ১০২ রাউন্ডের ২টি ম্যাগজিন, ২টি গ্রেনেড এবং বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে।
সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- পহেলগাঁও পরবর্তী সময়ে দেখা গেছে একাধিক জঙ্গি নিকেশ করেছে ভারতীয় সেনা বাহিনী। এবার জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তের সোপিয়ানে ২ লস্কর জঙ্গিকে গ্রেফতার করল যৌথ বাহিনী। উপত্যকার সীমান্তে চলছে জঙ্গি দমন অভিযান। সেই অভিযানেই সেনা এবং পুলিশের কাছে সূত্র মারফত খবর আসে ২ জঙ্গিকে অস্ত্রসহ সোপিয়ানে দেখা গেছে। খবর পেয়েই শুরু হয় তল্লাশি অভিযান।
ভারতীয় সেনার ৪৪ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস, সিআরপিএফের ১৭৮ নম্বর ব্যাটালিয়ান এবং পুলিশের যৌথবাহিনী অভিযান চালায়। অভিযানে সোপিয়ান জেলার বাসকুচান ইমাম সাহিব এলাকা থেকে দুই জঙ্গিকে অস্ত্রসস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়। ওই এলাকায় আত্মগোপন করার চেষ্টা করছিল অভিযুক্ত ২জন। তল্লাশি অভিযানে ঘিরে ফেলা হয় ওই এলাকা। বাহিনীর উপস্থিতি টের পাওয়া মাত্রই ২ জঙ্গি পালানোর চেষ্টা করে, কিন্তু সব দিক থেকে যৌথ বাহিনী ঘিরে ফেলায় তারা পালানোর পথ পায় না। অবশেষে ২ জঙ্গি আত্মসমর্পণ করে। গ্রেফতার করা হয় ২ জনকে। তাদের নাম ইরফান বসির এবং উজাইর সালাম। ধৃতরা লস্করের সদস্য। মূলত ওভার গ্রাউন্ড ওয়াকার হিসাবে কাজ করত। তাদের কাছ থেকে ২টি একে ৫৬ রাইফেল, ১০২ রাউন্ডের ২টি ম্যাগজিন, ২টি গ্রেনেড এবং বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। গোপনে তারা কোনও নাশকতার ছক কষেছিল কি না তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। ধৃতদের জেরা করছে পুলিশ। সপ্তাহ দুয়েক আগেই সোপিয়ানে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ‘কেলার’ অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। সেই অভিযানে তিন লস্কর জঙ্গিকে হত্যা করা হয়। তাদের মধ্যে ছিল ২ জন স্থানীয় জঙ্গি শাহিদ কুট্টে এবং আদনান সফি দার। পহেলাগাঁও কাণ্ডের পর সেনাবাহিনীর তরফে স্থানীয় জঙ্গির যে তালিকা তৈরি করা হয়েছিল সেই তালিকায় নিকেশ ২ জঙ্গির নাম ছিল। পহেলগাঁও কাণ্ডের পর এই ২ জঙ্গির বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।