সহদেব সিং গিল নামে এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন বলে জানা গেছে। সহদেবকে গ্রেফতারের কয়েক ঘন্টার মধ্যে আরও এক পাক চরকে গ্রেফতার করা হয় পড়শি রাজ্য রাজস্থান থেকে। রাজস্থানের ডিগ জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয় কাশিম নামে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে।
সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- গুজরাটে আবারও পাক গুপ্তচর। গুজরাটের কচ্ছ এলাকা থেকে পুলিশের হাতে গ্রেফতার এক ব্যক্তি। সহদেব সিং গিল নামে এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন বলে জানা গেছে। সহদেবকে গ্রেফতারের কয়েক ঘন্টার মধ্যে আরও এক পাক চরকে গ্রেফতার করা হয় পড়শি রাজ্য রাজস্থান থেকে। রাজস্থানের ডিগ জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয় কাশিম নামে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে। গ্রেফতার করে সে রাজ্যের অপরাধদমন শাখা এবং গোয়েন্দারা। অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তানে একাধিক বার ফোনে যোগাযোগ করে কাশিম বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তবে কাদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল, ওই সময়ে কাদের সঙ্গে কথা বলেছিল, কাশিমের ফোন থেকে সেই তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। শুধু ফোনেই নয়, পাকিস্তানে বেশ কয়েক বার গিয়েছিল কাশিম বলেও মনে করা হচ্ছে। কাশিমের ফোন ইতিমধ্যেই ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। কোনও গোপন তথ্য সে পাচার করেছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর হয়ে চরবৃত্তির সন্দেহে চলতি মাসের প্রথমেই জয়সলমের থেকে পাঠান খান নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২০১৩ সালে পাকিস্তানে যায় পাঠান। সেই সময় আইএসআই (ISI) আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করে সে। তারপর থেকেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতো অভিযুক্ত। মোটা টাকার বিনিময়ে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত তথ্য পাচার করতো বলে অভিযোগ।
পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি এবং রাজস্থান থেকে পাকিস্তানের চরবৃত্তির অভিযোগে একাধিক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কচ্ছ থেকে গ্রেফতার হওয়া সহদেব সিং গিলকে গ্রেফতার করে গুজরাটের সন্ত্রাসদমন শাখা। তিনি পেশায় স্বাস্থ্যকর্মী। আইএসআই-এর সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। তার বিরুদ্ধে আরও আরও অভিযোগ, নৌসেনার গোপন তথ্য পাকিস্তানি চরকে পাচার করেছেন সহদেব।