মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ফের একবার কালীঘাট অভিযানে সামিল হন ইউনাইটেড টিচিং ও নন টিচিং ফোরামের সদস্যরা। কিন্তু হাজরাতে জমায়েত শুরুর আগেই আন্দোলনকারীদের প্রিজন ভ্যানে তুলে নেয় পুলিশ।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক
বুধবার আবারও একবার কালীঘাট অভিযানে সামিল হন ইউনাইটেড টিচিং ও নন টিচিং ফোরামের সদস্যরা। বর্তমানে যারা এসএসসি তথা আচার্য ভবনের সামনে অবস্থান করে চলেছেন। এর আগে এপ্রিলে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে কালীঘাট অভিযানে সামিল হন। সেবারও হাজরা মোড়ে জমায়েত করেন তাঁরা। কিন্তু মিছিল শুরুর পরেই পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। অর্থাৎ সফল হয়নি কালীঘাট অভিযান। এবারও ইউনাইটেড টিচিং ও নন টিচিং ফোরামের কালীঘাট অভিযান সফল হল না।
বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ কালীঘাট অভিযানের সামিল হতে এক এক করে ইউনাইটেড টিচিং ও নন টিচিং ফোরামের সদস্যরা আসতে শুরু করলে পুলিশ আন্দোলনকারীদের আটক করতে শুরু করেন। প্রায় ৪০ জন চাকরিহারা শিক্ষক- শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী এক জায়গায় জড়ো হওয়া মাত্রই পুলিশ তাদের ধরে প্রিজন ভ্যানে তুলে দেয়। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় আন্দোলনকারীরা। এর আগে এপ্রিল মাসে কালীঘাট অভিযান ব্যর্থ হলেও আন্দোলনকারীরা হাজরা মোড়ে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখায়। কিন্তু এবার সেটাও হয়নি। জমায়েতের আগেই পুলিশ আন্দোলনকারীদের প্রিজন ভ্যানে তুলে নেয়। বুধবার কোনও ভাবেই হাজরা মোড়ে আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ দেখাতে দেয়নি পুলিশ।
র্যাঙ্ক জাম্প, ওএমআর শিটে গরমিল, সময় বর্হিভূত প্যানেল কার্যত এই বিষয়গুলির সঙ্গে যারা জড়িত তাদের নাম যোগ্যের তালিকায় নেই। এসএসসির তরফ থেকে ডিআই অফিসে যোগ্যের যে তালিকা যায় সেখানে যাদের নাম নেই তাদের পক্ষ থেকেই বুধবার কালীঘাট অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। ইউনাইটেড টিচিং ও নন টিচিং ফোরামের সদস্যদের বক্তব্য , “তাঁরা যোগ্য। তাদের চাকরি সরকারকে ফিরিয়ে দিতে হবে।” কিন্তু এসএসসি-র ডিআই অফিসে পাঠানো তালিকায় নাম থাকায় এই সকল চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকারা স্কুলে যেতেও পারছেন না। পাশাপাশি তাঁকা বেতনও পাচ্ছেন না। তাই তাঁদের সরকারের কাছে আবেদন সরকার এই বিষয়টি গুরত্ব সহকারে দেখুক।