যে ছেলের সঙ্গে সোমবার রাতেও কথা হয়েছে পরের দিন তার ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে আসতে হবে ভাবতেও পারছেন না দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিংকু মজুমদার। এদিন কান্নায় ভেঙে পড়ে তিনি নিজেই জানালেন ইদানীং প্রীতম একটু মনমরা হয়ে থাকত।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক: বিয়ের মাত্র ২৫ দিনের মধ্যেই ছেলের চলে যাওয়ার এই ধাক্কা একেবারেই সামলাতে পারেননি রিংকু। এদিন তিনি ছেলের ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখেন ছেলের শরীর পুরো ঠান্ডা। তাও চেষ্টা করেছিলেন যদি তার জ্ঞান ফেরানো যায় কিন্তু মায়ের মন বুঝতে পারেনি ছেলে আর নেই। এদিন ময়নাতদন্তের জন্য আরজিকরে পৌঁছে যান তিনি। বিধ্বস্ত অবস্থায় কথা বলার ক্ষমতা আর নেই। তবু তার মধ্যেও জানালেন বেশ কিছু কথা। কান্নায় ভেঙে পড়ে করলেন ছেলের স্মৃতিচারণা। তিনিই জানালেন তার ছেলে গলায় দড়ি দিয়ে মারা যায়নি। তার ছেলে শুয়ে ছিল। তাই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের তত্ব সম্পূর্ণ ভুল।
তিনি আরও জানান, তিনি গিয়ে দেখেন তার ছেলে শুয়ে রয়েছে সেখানে তার সাথে অফিসের দুজন কলিগ ছিল। একজন রাত ১০টায়এবং একজন ৩টেয় এসেছিল। রিংকুই জানান শেষবার ছেলের সঙ্গে রাত ১২.৩০টায় কথা হয়। আরও জানা যায় যে প্রায় এক-দেড় বছর আগে সেন্সলেস হয়ে যায় প্রীতম, চিকিৎসকের নির্দেশেই নিউরোর ওষুধ চলত। কিন্তু প্রীতম নাকি সেই সব ওষুধ অনিয়মিত খেতেন ইদানীং। এরপরই ফের কান্নায় ভেঙে পড়ে রিংকু বলেন ‘ছেলে মুখে বলত না কিন্তু মনে মনে চাইত আমার সাথে থাকবে। আমার বিয়ের পর থেকে ও একটু আপসেট থাকত। আমি জানতাম খাওয়া দাওয়া করছে না ঠিক করে। ভেবেছিলাম ওনাকে বলব ছেলেকে এই বাড়িতে নিয়ে আসব বা আমি ওর কাছে গিয়ে থাকব।’ ময়নাতদন্ত শেষ করে ফুলে ঢাকা ছেলের দেহ নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন রিংকু। নিমতলা শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে প্রীতমের।