দ্বি-পাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাশিয়া ও ইউক্রেন ৷ সেই মত শুরু হয় বন্দি বিনিময়ের প্রক্রিয়াও ৷ তার মধ্যেই কিয়েভে ফের বড় হামলা চালাল রাশিয়া ৷ শনিবার ভোরে রুশ মিসাইল ও ড্রোন হামলায় রীতিমতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের একাধিক এলাকা ৷ প্রাণের ভয়ে ভূগর্ভস্থ সাবওয়ে স্টেশনে আশ্রয় নিয়েছেন স্থানীয়রা ৷
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিকঃ প্রায় ২৫০টি ড্রোন ও ১৪টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোঁড়া হয়েছে মস্কোর তরফে। কিন্তু ইউক্রেনের ডিফেন্স সিস্টেম ৬টি মিসাইল ও ২৪৫টি মিসাইলকে প্রতিহত করে দিয়েছে! এই নিয়ে পরপর দু’দিন সারা রাত ধরে হামলা চালাল রাশিয়া। সেই আবহেই রুশ সেনার হামলা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে কি যুদ্ধ থামবে না?
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। তারপর থেকে একাধিক উদ্যোগ সত্ত্বেও মুখোমুখি বসে যুদ্ধ থামানো নিয়ে আলোচনা করতে রাজি হননি দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। সম্প্রতি ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসতে আগ্রহী হয়েছিল রাশিয়া। যুদ্ধের কারণগুলি সমূলে উৎখাত করার পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ফেরানো-এই দুই লক্ষ্য নিয়েই আলোচনায় বসতে চান পুতিন। কিন্তু তারপরও ভেস্তে যায় সেই সম্ভাবনা।
ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, রাশিয়ার দিক থেকে তাদের দেশে অন্তত ১৪টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, ২৫০টি ড্রোন হামলাও চালানো হয়। রুশ সেনার মূল লক্ষ্যই রাজধানী কিয়েভ! ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছ’টি ক্ষেপণান্ত্র এবং ২৪৫টির মতো ড্রোন আঘাত রুখেছে। তবে কিছু ক্ষেপণাস্ত্র আটকানো যায়নি। নিপ্রো, খারকিভ, ওডেসা, ডোনেৎস্ক, জ্যাপোরিজজিয়ার মতো এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকা ধ্বংস হয়। হতাহতের সংখ্যা একশো ছাড়িয়েছে।
এক্স হ্যান্ডলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি লিখেছেন ‘প্রতি রাতে, আমাদের বাহিনী জীবনরক্ষার জন্য কাজ করে। আজও একটি বিরাট এবং জঘন্য রুশ আক্রমণ হয়েছে। পুতিন যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান করেছেন। এতে তাঁর কোনও লাভ হচ্ছে না। কেবল রোজ মানুষ মরছে। আর তাই রোজই রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করার নতুন নতুন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।”