সিঁদূর মুছে দেওয়ার বদলা ছিল এই অপারেশন সিঁদূর। সেই অপারেশন সফল হতেই দুই মহিলা অফিসার দিয়ে অভিযানের ব্রিফিং করল সাউথ ব্লক। সোহিনী-শবরী-হিমাংশীদের সমব্যথী হয়ে কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিংহ জানালেন ভারত কিভাবে পাকিস্তানের ঘরে ঢুকে জঙ্গি নিধন করেছে
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক: ভারতের তরফে এই বদলায় পাক সেনাঘাঁটি কিংবা কোন পাক নাগরিককে নিশানা করা হয়নি। ভারতের মূল লক্ষ্য ছিল জঙ্গি নিধন। নির্দিষ্ট ভাবে কিছু বিল্ডিংয়ে হামলা হয়েছে প্রযুক্তি দিয়ে সেগুলি ভেঙে দেওয়া হয়েছে এমনটাই জানিয়ে ভূমিকা-সোফিয়ারা।
তারা জানান, পাকিস্তানের ভেতর সার্জেল ক্যাম্পে হামলা চালানো হয়েছে আন্তর্জাতিক সীমা থেকে তা ৬কিমি দূরে। হামলা হয়েছে মেহমুনা জোয়া ক্যাম্পে। হিজবুলের ক্যাম্প ছিল এখানেই পাঠানকোটে এখান থেকেই হামলা চালানো হয়। মুরিদকের মারকাজ তৈবায় হামলা চালিয়েছে ভারতীয় বাহিনী যেখানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল ২৬/১১ হামলার জঙ্গিদের, আজমল কাসাব উঠে এসেছিল এই ঘাঁটি থেকেই।
ভারতীয় সেনার সাংবাদিক সম্মেলনে এই দুই যোদ্ধা নারীর উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। কর্নেল সোফিয়া কুরেশি মাত্র ৩৫ বছর বয়সে নজিরবিহীন সম্মান অর্জন করেছেন। ২০১৬ সালের মার্চে প্রথম ভারতীয় মহিলা অফিসার হিসেবে বহুজাতিক সামরিক অনুশীলন exercise force 18-এ ভারতকে নেতৃত্ব দেন। উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং স্কুল জীবন থেকেই চেয়েছিলেন আকাশে উড়তে। স্কুলে পড়াকালীন এনসিসিতে যোগ দেন। ভারতীয় বায়ুসেনায় হেলিকপ্টার চালক হিসাবে কমিশন প্রাপ্ত হন তিনি এবং ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর ফ্লাইং ব্রাঞ্চে স্থায়ী কমিশন লাভ করেন।