কারও বয়স ৬১, কেউ পেরিয়েছেন ৫৫! কেন্দ্রীয় আইন বাদ সাধলেও কৃত্রিম উপায়ে বাবা হওয়ার অনুমতি দিল হাইকোর্ট
ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক- কারও বয়স ৬১ আবার কারও ৬৩, আবার কেউ সদ্য পেরিয়েছেন ৫৫। সকলেই বাবা হতে চান। স্বাভাবিক উপায় সন্তান লাভ না করায় আপাতত কৃত্রিম উপায়ে পিতৃত্বের স্বাদ পেতে চাইছেন ওঁরা। কিন্তু বাদ সাধছে কেন্দ্রীয় আইন। বাধ্য হয়ে তাই তারা সকলেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
শুক্রবার এরকমই একগুচ্ছ মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। কিন্তু বৃদ্ধ বয়সে বাবা হতে কোথায় অসুবিধা? অ্যাসিসটেড রিপ্রোডাকটারি টেকনোলজি বা এআরটি সংক্রান্ত ২০২১ সালের কেন্দ্রীয় বিধি অনুযায়ী কৃত্রিম উপায়ে এই প্রযুক্তির সুবিধা গ্রহণ করতে পারার ক্ষেত্রে পুরুষের বয়সের সর্বোচ্চ সীমা হতে হবে ৫৫। এবং নারীর ক্ষেত্রে তা হতে হবে ৫০। উভয় ক্ষেত্রেই নিম্ন বয়সসীমা ২১। এদিন দু’টি মামলার ক্ষেত্রে দেখা যায় সম্ভাব্য মায়েদের বয়স সর্বোচ্চ সীমার মধ্যে থাকলেও একটি ক্ষেত্রে সম্ভাব্য বাবার বয়স ৬১ এবং অন্য ক্ষেত্রে সম্ভাব্য বাবা সদ্য ৫৬ তে পা দিয়েছেন।
প্রথম মামলায় যেখানে সম্ভাব্য বাবা ৬০ পেরিয়েছেন, তাই সম্ভাব্য শিশুর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি সিনহা। তিনি বলেন, কৃত্রিম উপায়ে সন্তান জন্ম দেওয়ার সুবিধা গ্রহণের অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে বয়সের পাশাপাশি আরও অনেক বিষয় নির্ভর করে। এক্ষেত্রে মামলা কারীর বয়স যেহেতু ৬১, তাই শিশু জন্মাবার পর সে কতদিন বাবার সান্নিধ্য পাবে তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে।যদিও এআরটি সংক্রান্ত ২০২১ সালের কেন্দ্রীয় বিধিকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্ট সহ দেশের একাধিক হাইকোর্টে একাধিক মামলা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। এবং সেই মামলার নিষ্পত্তি হতে আরো কয়েকটা বছর গড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই হাইকোর্টে এদিন এই ধরনের তিনটি মামলার শুনানির পর দুটি মামলার ক্ষেত্রে কৃত্রিম পদ্ধতিতে সন্তান ধরনের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি সিনহা। তৃতীয় মামলাটির ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে সম্ভাব্য মায়ের বয়স ৩৪ এবং সম্ভাব্য পিতার বয়স ৬৩। তাই বিষয়টি নিয়ে আরও শুনানির প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছে আদালত।