১৭ মে, বিশ্ব উচ্চরক্তচাপ দিবসের অঙ্গীকার। যথার্থ ভাবে ব্লাড প্রেসার মাপুন, নিয়ন্ত্রণ করুন এবং দীর্ঘ জীবন লাভ করুন।
মৌসুমী সাহা -নীরবে শরীরের ক্ষতি করে উচ্চরক্তচাপ। অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক এর ঝুঁকি বাড়ায়।ক্ষতি হয় শরীরের নানান অঙ্গের । বর্তমান পরিস্থিতিতে উচ্চরক্তচাপের মতো সমস্যা বাড়ছে,এমনকি অনেক ছোট বয়সেই থাবা বসাচ্ছে এই সমস্যা।
অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা,শারীরিক অসুখ,জেনেটিক কারণ,শারীরিক পরিশ্রমের অভাব,এমনকি স্থূলতার কারণে বাড়ছে উচ্চরক্তচাপ।কিডনি ঠিক মতো কাজ না করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করতে পারে না কিডনি ফলে রক্তের চাপ বাড়তে থাকে,রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয় বারে উচ্চরক্ত চাপ এর ঝুঁকি। ঘুম এর সময় নাক ডাকা অনেকের অভ্যাস এটাও কিন্তু উচ্চরক্ত চাপ এর প্রবণতা বাড়ায়। থাইরয়েড এমনকি নানান হরমোনের তারতম্য উচ্চরক্তচাপ ডেকে আনতে পারে। ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় এমনকি গর্ভা বস্তায় হতে পারে হাই ব্লাডপ্রেসার।
মাথাব্যাথা,বুকে ব্যাথা, ব্রিথিংপ্রবলেম,নাকদিয়ে রক্ত পড়া,চোখে দেখার সমস্যা হলে সতর্ক হোন।
মধ্যবয়সী মহিলাদের থেকে পুরুষদের উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেশি। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে মহিলাদের সংখ্যা এক্ষেত্রে পুরুষদের থেকে বেশি। প্রতিরোধের বিষয়ে সচেতন হতে হবে সবাইকে। স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন অতিরিক্ত নুন চিনি এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। নেশা জাতীয় সামগ্রী বর্জন করতে হবে ভালো থাকতে হলে।ব্যায়াম প্রয়োজনীয়, ওজন নিয়ন্ত্রণ করা বাঞ্ছনীয়, পর্যাপ্ত ঘুম যেমন প্রয়োজন তেমনি মানসিক চাপ যা কিনা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তা যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা যায় ততটাই ভালো।