শনিবার সন্ধ্যা থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে হিমাচল প্রদেশের বেশ কয়েকটি জেলায়। তার মধ্যে কুলু এবং রামপুরে বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটাই বেশি। ফলে হড়পা বান নেমে আসে। মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে কুলুতে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- উত্তর ভারতের বিস্তর এলাকায় প্রবল বৃষ্টির জন্য নাজেহালে মানুষ। এরই মধ্যে ভারী বৃষ্টির জেরে হিমাচল প্রদেশের কয়েকটি জেলায় ধসের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কুলু এবং রামপুর এলাকায় হড়পা বান নামে। যার জেরে প্রাণহানির মতো ঘটনা না ঘটলেও বেশ কিছু যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হড়পা বানের জেরে এই দুই জায়গায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। অনেকেই ইতিমধ্যেই নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে পেরেছেন। বৃষ্টির জেরে চম্বায় ধস নামার ফলে এক যুবকের মৃত্যু হয়।
শনিবার সন্ধ্যা থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে হিমাচল প্রদেশের বেশ কয়েকটি জেলায়। তার মধ্যে কুলু এবং রামপুরে বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটাই বেশি। ফলে হড়পা বান নেমে আসে। মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে কুলুতে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। রামপুরে বৃষ্টির কারণে বেশ কয়েকটি রাস্তায় জলমগ্ন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রামপুর এবং কিন্নৌরের মাঝে ধস নামার কারণে হিন্দুস্থান-তিব্বত রোড অর্থাৎ ৫ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শতদ্রু নদীর জলের পরিমাণ বেড়েছে। ২৮ মে পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি এবং ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া চলবে বলে দিল্লির মৌসম ভবন সূত্রে জানা গেছে। হিমাচলের সিরমৌর, সোলান, শিমলা, মান্ডি, কুলু, কাংড়া এবং চাম্বা, এই ৭ জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
পাহাড়ের উঁচু অংশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। পাহাড়ের নিচু এলাকায় কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হতে পারে আগামী তিন দিনে বলে খবর। শনিবার রাতে রোহরুতে ১০ মিমি, জুব্বারহাট্টিতে ২.৬ মিমি এবং চাম্বায় ২ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হয়েছে রেকংপেও, তাবো, কোটখাই, সেওবাগ এবং নারকান্ডায়।