দক্ষিণ কলকাতার নামী ল’কলেজে আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় এবার কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা। মঙ্গলবার বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন একাধিক আইনজীবী। আদালতের অনুমতি চেয়ে দায়ের করা হয়েছে মোট তিনটি জনস্বার্থ মামলা। মামলাগুলির আবেদন করেন বিশিষ্ট আইনজীবী সৌম্যশুভ্র রায়, সায়ন দে এবং বিজয় কুমার সিংহল।
ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক- কসবা ল’কলেজে গণধর্ষণ কাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করলেন বেশ কয়েকজন আইনজীবী। পৃথক আবেদন জানিয়ে মামলাকারী আইনজীবীরা দাবি করেছেন, আদালতের সরাসরি নজরদারিতে ঘটনার তদন্ত চলুক। একই সঙ্গে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তদন্তের জন্য একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির তত্ত্বাবধানে মনিটরিং কমিটি গঠনের। এছাড়া, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হাইকোর্ট যেন কড়া নির্দেশ দেয়, তাও অন্যতম দাবি হিসেবে উত্থাপিত হয়েছে।
গত ২৫ জুন রাতে কসবার ওই ল’কলেজে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। ইতিমধ্যেই ওই ঘটনায় চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। তবে শুধুমাত্র পুলিশি তদন্ত যথেষ্ট নয়, এই দাবি তুলে আইনজীবীরা আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। মামলার শুনানি হতে পারে আগামী বৃহস্পতিবার।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তীব্র চাপানউতোর। শিক্ষাঙ্গনের নিরাপত্তা নিয়ে শাসক ও বিরোধীদের মধ্যে তরজা চরমে। এই পরিস্থিতিতে হাইকোর্ট কী নির্দেশ দেয়, সেদিকে তাকিয়ে রাজ্যবাসী। আদালতের পর্যবেক্ষণ এখন মামলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।