গাজা জুড়ে এই মুহূর্তে শুধু ধ্বংসেরই ছবি। তার মধ্যেই আরও এক হাহাকার শোনা যাচ্ছে এই মুহূর্তে গাজা জুড়ে, তা হল খাদ্যের হাহাকার। সামান্য ৫ টাকার বিস্কুট এই মুহূর্তে গাজায় বিক্রি হচ্ছে ২৪০০ টাকায়। যা দেখে চমকে উঠছেন সকলে।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিকঃ এই মুহূর্তে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হচ্ছে গাজায়। কিন্তু সেই ত্রাণ সামগ্রী গাজার সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছনোর আগেই লুট হয়ে যাচ্ছে। অভিযোগ উঠছে হামাস জঙ্গিরা এসব খাদ্য সামগ্রী লুট করে কালোবাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে যার ফলে ফ্রিতে যে সকল খাদ্য সামগ্রী সাধারণ মানুষের হাতে যাওয়ার কথা, সেসব নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বিশাল অঙ্কের টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে।
আর সেই কারণেই এই মুহূর্তে ৫ টাকার বিস্কুট গাজায় বিকোচ্ছে ২৪০০ টাকায়। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এক ভিডিও, সেখান থেকেই জানা গিয়েছে এই বিষয়টি। ভাইরাল হওয়া ভিডিও থেকে জানা যাচ্ছে এক বাবা তাঁর ছোট্ট মেয়ের জন্য কিছু খাবার সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ত্রাণের খাবার পাননি তিনি অবশেষে অনেক ঘুরে ২৪ ইউরো খরচ করে মেয়ের জন্য এক প্যাকেট বিস্কুট জোগাড় করতে সক্ষম হন তিনি। ওই ভাইরাল ভিডিওতে তিনি বলছেন, “দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে রফিকের প্রিয় বিস্কুটের প্যাকেট সংগ্রহ করতে পেরেছি। যদিও ১.৫ ইউরোর এই বিস্কুট কেনার জন্য ২৪ ইউরো খরচ করতে হয়েছে।” শুধু তো বিস্কুটই না, এই মুহূর্তে গাজায় প্রায় সবকিছুর দাম আকাশছোঁয়া। ভারতীয় টাকায় গাজায় এখন ১ কেজি চিনির দাম প্রায় ৪ হাজার ৯১৪ টাকা, ১ লিটার তেলের দাম ৪ হাজার ১৭৭ টাকা, ১ কেজি আলু প্রায় ১ হাজার ৯৬৫ টাকায়, ১ কেজি পিঁয়াজ প্রায় ৪ হাজার ৪২৩ টাকা।
অন্যদিকে বহু দিন ধরেই অনেকে অভিযোগ করে আসছিলেন, গাজায় কিছু সশস্ত্র গোষ্ঠীকে মদত দিচ্ছে নেতানিয়াহুর প্রশাসন। তবে এত দিন মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। তবে এবার বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু একপ্রকার সেই কথাই স্বীকার করে নিয়েছেন। তাঁর দাবি, গাজায় যে স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলি রয়েছে, সেই দলগুলিকেই হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে। জানা গেছে রাফার ইয়াসের আবু শাবাবের নেতৃত্বাধীন পপুলার ফোর্সেসকে সাহায্য করে নেতানিয়াহু প্রশাসন। গত মাসেই ইজরায়েলি সংবাদপত্র ‘হারেজৎজ’ এই গোষ্ঠীর কার্যকলাপকে সন্ত্রাসবিরোধী বলে উল্লেখ করেছিল। এই গোষ্ঠীতে কমপক্ষে ১০০ জন সশস্ত্র সদস্য রয়েছেন।