১২টি দেশের নাগরিকদের জন্য সে দেশে প্রবেশাধিকারে পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা জারি করল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপাশি আমেরিকায় ঢোকার ক্ষেত্রে আংশিক নিষেধ রয়েছে আরও ৭ দেশের নাগরিকদের উপর।
সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- অভিবাসন আইন নিয়ে আরও কড়া পদক্ষেপ আমেরিকার। ১২টি দেশের নাগরিকদের জন্য সে দেশে প্রবেশাধিকারে পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা জারি করল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপাশি আমেরিকায় ঢোকার ক্ষেত্রে আংশিক নিষেধ রয়েছে আরও ৭ দেশের নাগরিকদের উপর। হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত কেন, তার কারণ এখনও ধোঁয়াশা। এই বিষয় সম্পর্কে স্পষ্ট জানায়নি ওয়াশিংটন। তবে হোয়াইট হাউসের তরফে জাতীয় নিরাপত্তায় ঝুঁকির কথা বলা হয়েছে।
বুধবার ট্রাম্প সমাজ মাধ্যমে লিখেছেন, এমন কোনও দেশ থেকে অভিবাসীদের ঢুকতে দিতে পারি না, যেখানে আমরা নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য ভাবে কিছু যাচাই করে দেখতে পারি না। সেই কারণে আমি নতুন প্রশাসনিক নির্দেশিকায় সই করতে চলেছি।” এই সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে কলোরাডোয় সাম্প্রতিক হামলার ঘটনার উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প। গত রবিবার কলোরাডোর একটি শপিং মলের বাইরের জমায়েতকে লক্ষ্য করে ফায়ার বম্ব ছোড়েন মিশরের এক নাগরিক। স্লোগান দেন “প্যালেস্টাইনকে মুক্ত করো!” (ফ্রি প্যালেস্টাইন)
ট্রাম্পের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৯ই জুন থেকে আমেরিকায় ঢুকতে পারবে না আফগানিস্তান, মায়ানমার, চাদ, রিপাবলিক অফ কঙ্গো, ইকিউটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান এবং ইয়েমেনের বাসিন্দারা। প্রবেশাধিকারের ক্ষেত্রে আংশিক নিষেধাজ্ঞা যে ৭ দেশের উপর চাপানো হয়েছে সেগুলি হল- বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান এবং ভেনেজুয়েলা। হোয়াইট হাউস সূত্রে জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞার কোপে পড়া অনেক দেশই সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপকে মদত দিচ্ছে। এই ক্ষেত্রে তালিবান শাসিত আফগানিস্তান, ইরান এবং কিউবার উদাহরণ টানা হয়েছে। আবার চাদ কিংবা ইরিত্রিয়ার মতো দেশগুলির নাগরিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তাঁরা ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও আমেরিকায় থেকে যাচ্ছেন বা থেকে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইসলামিক সন্ত্রাসবাদীদের আমেরিকায় ঢোকা রুখতেই তাঁর এই পদক্ষেপ।
ট্রাম্পের ঘোষণার পর হোয়াইট হাউসের অন্যতম মুখপাত্র আবিগেল জ্যাকসন বলেন, ভয়ঙ্কর বিদেশিদের হাত থেকে আমেরিকার নাগরিকদের রক্ষা করার যে প্রতিশ্রুতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দিয়েছিলেন, তা তিনি রক্ষা করছেন। তারা আমাদের দেশে আসতে চায় এবং আমাদেরই ক্ষতি করতে চায়।