ফের একবার বিধানসভায় চা বাগান ধ্বংস নিয়ে সরকারের দিকে আঙুল তুললেন বিজেপির পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক শংকর ঘোষ। এই সরকার চা বাগান বাঁচানোর কোনো চেষ্টা তো করছেই না, বরং আইন ভেঙে চা বাগানের জমি বিক্রি করে দিচ্ছে, অভিযোগ শিলিগুড়ির বিধায়কের।
সঞ্জু সুর, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- শুক্রবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বের পর কলিং অ্যাটেনশন বা দৃষ্টি আকর্ষণী পর্বে শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ শ্রম দফতরের মন্ত্রী মলয় ঘটকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, “তুফানগঞ্জে রসিকবিল সংলগ্ন একটি চা বাগান, মূলতঃ আদিবাসীরা এই চা বাগানের উপর নির্ভরশীল। আদিবাসী পরিবারের সদস্যরা যৌথ উদ্যোগে দীর্ঘদিন ধরে এই বাগানে চাষ করে আসছে। কিন্তু বুলডোজার দিয়ে ওই বাগান ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে।” বিজেপির পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতকের বক্তব্যের পিঠেই রাজ্যের শ্রম মন্ত্রী বলেন, “আপনার কাছে যদি কিছু প্রমাণ থাকে তাহলে আমাকে দিন, আমরা ব্যবস্থা নেবো।”
সেই সময় শংকর ঘোষ বলেন, “আমার কাছে ভিডিও রয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে জেসিবি মেশিন দিয়ে পুরো চা বাগান ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে।” প্রত্যুত্তরে মলয় ঘটক বলেন, “আপনার কাছে আমার ফোন নম্বর রয়েছে। আপনি ভিডিওটি আমাকে পাঠিয়ে দিন। দেখছি।”
এর পাশাপাশি মন্ত্রী বলেন, “২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকে চা বাগানের শ্রমিকদের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ক্রমশঃ বেড়েছে। বাম আমলে যেখানে চা বাগানের শ্রমিকদের দিন প্রতি মজুরি ছিলো মাত্র ৬৭ টাকা, এখন সেটা বেড়ে হয়েছে ২৫০ টাকা। ‘চা সুন্দরী’ প্রকল্প ছাড়াও চা বাগানের শ্রমিকদের সম্পূর্ণ বিনা পয়সায় ৩৫ কেজি করে চাল দেওয়া হয়।” বিজেপি কে কটাক্ষ করে মন্ত্রী বলেন, “অসমের বিজেপি সরকারে চা শ্রমিকদের মাত্র ২০ কেজি চাল দেওয়া হয়, তাও প্রতি কেজি ৯ টাকা করে দিতে হয়।”
মন্ত্রী এই কটাক্ষ করলেও, বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষের পাল্টা মন্তব্য “২০২২ সালেও একটা বাগান নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। প্রমাণ স্বরূপ সব তথ্যও দিয়েছিলাম। তিন বছর হয়ে গেলো, মন্ত্রী এখনও কিছু করতে পারেন নি।”