মালদহের এক ব্যবসায়ীর নিখোঁজ হওয়ার তদন্তে নেমে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থেকে দেহ উদ্ধার করলো পুলিশ। খুন করে দেহ লোপাটের উদ্দেশ্যে দেওয়ালে গেঁথে প্লাস্টার করে দেওয়া হয়েছিলো। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ব্যবসায়ীর কাকিমাকে।
বিশ্বজিৎ মন্ডল, মালদহ– মে মাসের ১৮ তারিখ থেকে নিখোঁজ ছিলেন মালদহের ব্যবসায়ী সাদ্দাম নাদাব। মালদহের পুখুরিয়া থানার কোকলামারি নাদাব পাড়ার বাসিন্দা সাদ্দাম থাকতেন ইংরেজবাজারে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে। পেশায় ভিন রাজ্যে শ্রমিক সরবরাহকারী ঠিকাদার এই যুবক ব্যবসায়ী নিখোঁজ হওয়ার পর তার আত্মীয়রা ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তদন্তে নেমে কোনভাবেই ওই যুবকের হদিস পাচ্ছিলেন না ইংরেজবাজার থানার আধিকারিকরা। অবশেষে যে আত্মীয়ের বাড়িতে সাদ্দাম ভাড়া থাকতেন, সম্পর্কে সাদ্দামের কাকিমা মৌমিতা নদাবকে পুলিশ আটক করে। প্রথমে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করলেও, পুলিশের লাগাতার জেলায় ভেঙে পড়েন মৌমিতা। পুলিশের কাছে তিনি স্বীকার করেন সাদ্দামকে খুন করা হয়েছে।
পুলিশি জেরায় মৌমিতা জানান দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপনে তার বাবার বাড়িতেই সাদ্দামের দেহ দেওয়ালে গেঁথে প্লাস্টার করে দেওয়া হয়েছে। মৌমিতার কথার সূত্র ধরেই সোমবার সকালে তপন থানার পুলিশের সাহায্য নিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে মালদার ইংরেজ বাজার থানার পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই সাদ্দাম কে খুন করা হয়েছে।
এদিকে মৌমিতা অভিযোগ করেছেন যে মৃত সাদ্দাম দীর্ঘদিন ধরেই তার সঙ্গে অশালীন আচরন করেছে। উল্টোদিকে মৃত সাদ্দামের ভাইয়ের অভিযোগ মৌমিতা ও তার স্বামী (সম্পর্কে সাদ্দামের কাকু ও ককিমা) সাদ্দামের প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। মৌমিতার একার পক্ষে এই কাণ্ড ঘটানো কোনমতেই সম্ভব নয় বলেই মনে করছে পুলিশ। ফলে পুলিশ এখন খতিয়ে দেখছে যে মৌমিতার সঙ্গে আর কারা কারা এই ঘটনায় যুক্ত ছিল।