উচ্চমাধ্যমিকের একাদশ শ্রেণিতে সেমেস্টার পিছু আর অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে না ছাত্রছাত্রীদের। পরীক্ষার ফি বাবদ কত টাকা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিতে হবে তা জানাল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। শুধুমাত্র সেমেস্টার নয়, সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার ক্ষেত্রেও ওই একই ফি নিতে হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে ।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক
উচ্চ মাধ্যমিকে বদলেছে সিলেবাস, বদলেছে পরীক্ষার ধরন। একাদশ ও দ্বাদশ মিলিয়ে মোট চারটি সেমেস্টার দিতে হবে পরীক্ষার্থীদের। একাদশের পরীক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্কুলগুলিকে। এবার একাদশের পরীক্ষা ফি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদে। একাদশের সেমেস্টার পিছু পরীক্ষার খরচ নির্ধারণ করে দিল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সংসদের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, স্কুলভিত্তিক ফি সংক্রান্ত যে বিভ্রান্তি তা দূর করতে পরীক্ষা-পিছু ৭০ টাকা ফি হিসাবে ধার্য করা হয়েছে।
শুধুমাত্র সেমেস্টার নয়, সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার ক্ষেত্রেও ওই একই ফি নিতে হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে । পাশাপাশি এটাও জানানো হয়েছে ওই খাতে প্রাপ্ত টাকা পরীক্ষা ছাড়া অন্য কোনও বিভাগের জন্য ওই টাকা খরচ করা যাবে না। কোনও স্কুলে পরীক্ষার্থীদের কাছে পরীক্ষার জন্য আলাদা করে অতিরিক্ত অর্থ ফি হিসাবে চাওয়া হয় , আবার কোনও ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের কোনও রকম ফি দিতেই হয় না। তাই পরীক্ষা বাবদ নির্দিষ্ট একটা পরীক্ষা ফি প্রতি পরীক্ষার্থী পিছু ঠিক করে দেওয়া হল বলে জানিয়েছেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য।
পরীক্ষা ফি নিয়ে মূলত বিভ্রান্তি কাটাতেই এই উদ্যোগ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের।সংসদের এই সিদ্ধন্তকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষক মহলের একাংশ।শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিং কর অধিকারী জানিয়েছেন, “সেমিস্টার প্রথা অভিভাবকদের আর্থিক বোঝা বাড়িয়েছে। তবে বিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে এই নোটিশের প্রয়োজন ছিল। আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।”বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল জানিয়েছেন, “বিভিন্ন স্কুল বিভিন্নভাবে একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার জন্য টাকা নিতো। আবার কোনো স্কুল এই খাতে কোনো টাকা না নিয়ে অন্য খাতের টাকা এখানে ব্যয় করতো। কাউন্সিল সবার জন্য একরকম নিয়ম করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে আমরা মনে করি। এতে সমতা বজায় থাকবে আবার অভিযোগ ও কম আসবে।” তবে শিক্ষকমহলের কেউ কেউ মনে করছেন ৭০ টাকায় ওএমআর শিট সহ পরীক্ষা পরিচালনা করা অনেক স্কুলের ক্ষেত্রে কঠিন হয়ে পড়বে। তাই সংসদ এই সিদ্ধান্তে পুনর্বিবেচনা করলে ভালো হয়।