স্বচ্ছ ভারত মিশন প্রকল্পের কাজে দুর্ণীতি করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান। এই অভিযোগে বিডিও-র দ্বারস্থ হয়েছেন উপপ্রধান। ঘটনা মালদহের মানিকচক ব্লকের ধরমপুরের।
বিশ্বজিৎ মন্ডল, মালদহ- মালদহের মানিকচক ব্লকের ধরমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড চলছে যৌথ উদ্যোগে। তৃণমূল কংগ্রেস কে আটকাতে হাতে পদ্ম মিলিয়ে মিলিজুলি বোর্ড গঠন করেছিলো কংগ্রেস ও বিজেপি। পঞ্চায়েত প্রধান হন কংগ্রেস সদস্য ও উপপ্রধান করা হয় বিজেপি থেকে। তৃণমূল কে আটকাতে মিলিজুলি বোর্ড গঠন করলেও এখন নাকি সেই তৃণমূলের সহযোগিতায় দুর্ণীতি করছেন কংগ্রেসের প্রধান। এমনটাই অভিযোগ বিজেপির উপপ্রধান লতিকা মন্ডলের।
বিডিও-র কাছে প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপির উপপ্রধান সহ চার জন পঞ্চায়েত সদস্য। বিজেপির অভিযোগ, স্বচ্ছ ভারত মিশন প্রকল্পের অন্তর্গত ‘লিচ পিট’ তৈরিতে দুর্ণীতি করছেন বর্তমান প্রধান। কংগ্রেসের এই প্রধান বিরোধী তৃণমূলের সহযোগিতাতেই এই দুর্ণীতি করছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপির উপর প্রধান। প্রসঙ্গত মালদহের মানিকচক ব্লকের ধরমপুর গ্রাম এলাকায় স্বচ্ছ ভারত মিশন প্রকল্পে ৬০ টি ‘লিচ পিট’ তৈরির জন্য টেন্ডার ডাকা হয়। কিন্তু পর্যাপ্ত জায়গা না পাওয়ার কারণে মাত্র ২০ টি লিচ পিট তৈরি করা হয়। অভিযোগ এই ২০ টি লিচ পিট তৈরিতে ব্যাপক দুর্ণীতি করেছেন কংগ্রেসের প্রধান। এক একটি লিচ পিট তৈরির জন্য ৪৫ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও, কাজ হয়েছে মাত্র ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার। এরমধ্যেই আবার নতুন করে আরও ১০০ টি লিচ পিট তৈরির জন্য টেন্ডার ডাকতে চলেছেন প্রধান। এর প্রতিবাদ জানিয়ে বিডিও-র কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়ে বিজেপির উপপ্রধান বলেন, “পঞ্চায়েতে বিরোধী আসনে থাকা তৃণমূলের সহযোগীতায় দুর্ণীতি করছেন প্রধান। তাই তারা বিডিও-র দ্বারস্থ হয়েছেন। তারা তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে বিজেপির এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ধরমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা সুরজিৎ মন্ডল কংগ্রেসী প্রধানের পাশে দাঁড়িয়ে দাবি করেন, “লিচ পিট তৈরিতে কোনো দুর্ণীতি হয় নি। এই কাজের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছেন, তাই তারা (তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যরা) এই উন্নয়নমূলক কাজ সমর্থন করছেন মাত্র। যারা দুর্ণীতির কথা বলছেন, তারাই আসলে কাট মানি খাওয়ার জন্য এই অভিযোগ করছেন।”
এদিকে দুর্ণীতির এই অভিযোগকে ঘুরিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির দিকে ঠেলে দিয়েছেন কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি মতিউর রহমান। তাঁর দাবি, “এই একটি পঞ্চায়েতেই ক্ষমতায় আছে কংগ্রেস। তাই কংগ্রেসের বদনাম করার জন্য বিজেপি ও তৃণমূল মিলে এইসব অভিযোগ করছে।” প্রশাসন সূত্রে খবর, অভিযোগের তদন্ত করা হচ্ছে।