সেই ভয়াবহ লকডাউনের দিনগুলো কি আরও একবার ফিরতে চলেছে? দেশের দৈনিক করোনা পরিস্থিতিতে কিন্তু সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অনেকেই। গোটা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ছয় হাজার ছুঁইছুঁই।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিকঃ ভারতে ফের করোনাভাইরাস দাপট দেখাতে শুরু করেছে । নতুন ওমিক্রন সাব-ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবে দেশে অ্যাকটিভ আক্রান্তের সংখ্যা ৬,৪৯১-এ পৌঁছেছে। পঞ্চম ঢেউ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে দেশে। প্রশ্ন উঠছে—দেশ কি আবারও লকডাউনের পথে হাঁটতে বাধ্য হবে? ভয়াবহ অবস্থা এই রাজ্যেরও।
প্রথম স্থানে রয়েছে কেরালা, আক্রান্ত সংখ্যা ১৯৫০ থেকে বেড়ে হল ১৯৫৭। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত ৭ জন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গুজরাত, আক্রান্তের সংখ্যা ৮২২ জন থেকে বেড়ে হল ৯৮০ । বিগত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ল ১৫৮ জন। তিন নম্বরে আছে পশ্চিমবঙ্গ। এই রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত ৫৪ জন, এই নিয়ে মোট আক্রান্ত ৭৪৭ জন। এই আবহেই দ্বিতীয় কোভিড আক্রান্তের মৃত্যু। আবার এক করোনা আক্রান্ত এক ৪৮ বছর বয়সী পুরুষ বিডন স্ট্রিটের কাছে মাধব দাস লেনের বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে বেলেঘাটা আই ডি হাসপাতালে। ৬ তারিখ বিকেল চারটে বাইশ মিনিটে মারা যান ওই ব্যক্তি। শুধু কোভিডই নয় আরও একাধিক সমস্যা ছিল তাঁর।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনই লকডাউনের প্রয়োজন না হলেও পরিস্থিতি দ্রুত বদলাতে পারে। সংক্রমণের হার যদি এমনভাবেই বাড়তে থাকে, তবে নতুন গাইডলাইন বা আংশিক বিধিনিষেধ কার্যকর হতে পারে। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কেন্দ্র সব রাজ্যকে অক্সিজেন, ওষুধ ও ভেন্টিলেটর স্টক রিভিউ করতে বলেছে। রাজ্য সরকারগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে COVID প্রোটোকল ফের চালু করা যায়। কেরালা ও দিল্লির মতো রাজ্যগুলো ইতিমধ্যেই সতর্কতা ব্যবস্থা জোরদার করছে।
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী যে-যে দিকে খেয়াল রাখতে হবে, উপসর্গ দেখা দিলে অর্থাৎ জ্বর, সর্দিকাশি, গা-হাত-পা ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে, করোনা পজিটিভ হলে আইসোলেশনে থাকতে হবে, ঘরের বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন, ঘনঘন সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন।
করোনা কী করতে পারে ২০২০ থেকে ২০২২ পর্যন্ত তা দেখেছে গোটা বিশ্ব। একটা বেডের জন্য এ হাসপাতাল থেকে ও হাসপাতাল পাগলের মতো ছুটেছেন রোগীর পরিজনেরা। চারিদিকে শুধু শোনা গেছে স্বজনহারানোর কান্না আর হাহাকার। এই মুহূর্তে সারা দেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের আক্রান্তের গ্রাফও যথেষ্ট ভয় ধরাচ্ছে।