জিটিএ এলাকায় বিতর্কিত ৪৮৯ জন শিক্ষক নিয়োগকে ঘিরে ফের উত্তাল কলকাতা হাই কোর্ট। নিয়োগে দুর্নীতি এবং বিধিভঙ্গের অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মামলার শুনানিতে।
ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক-জিটিএ এলাকায় বিতর্কিত ৪৮৯ জন শিক্ষক নিয়োগকে ঘিরে ফের উত্তাল কলকাতা হাই কোর্ট। নিয়োগে দুর্নীতি এবং বিধিভঙ্গের অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মামলার শুনানিতে। এ দিন বিচারপতির স্পষ্ট প্রশ্ন, “নথিপত্র কোথায়? নিয়োগের প্রাথমিক নোটিফিকেশন কি চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে?”
মামলাকারীর তরফে আইনজীবী শামিম আহমেদের দাবি, রাজ্য সরকার ও জিটিএ-র হলফনামায় উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। তাঁর কথায়, “রাজ্যের দেওয়া মেমোতে ৩১৩ জন শিক্ষকের নাম থাকলেও, জিটিএ-র দেওয়া তথ্য তার থেকে আলাদা। ২০১০ ও ২০১১ সালের নোটিফিকেশনে রয়েছে অসঙ্গতি।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, নিয়োগে মানা হয়নি NCTE Act, 1993 ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতা। অনেক ক্ষেত্রেই নিয়োগ হয়েছে রাজনৈতিক প্রভাবে।
জবাবে আইনজীবী বিশ্বরূপ বলেন, “অনেকের ডিগ্রি আগে থেকেই ছিল।” পাল্টা সওয়াল করেন রাজ্যের আইনজীবী জয়দীপ কর, “২০১৭ সালের NCTE নোটিফিকেশন অনুযায়ী ছাড় দেওয়া হয়েছিল। ROPA Rule 2019 ও RTE Act অনুযায়ী এই নিয়োগ বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা কম।” তাঁর মতে, নিয়োগ হয়েছে নির্ধারিত যাচাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই।
বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “এরা নিয়ম মেনে নিযুক্ত হয়নি, এটা স্পষ্ট। রাজ্য জানাক, তারা এই নিয়োগপ্রাপ্তদের পাশে আছে কিনা।” আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ, ৪৮৯ জন শিক্ষককে নিয়ম মেনে নিয়োগ করা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।
এ দিন রাজ্য ও জিটিএ-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, স্কুল অনুমোদন সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য—যেমন কবে অনুমোদন হয়েছে, কোন নিয়মে হয়েছে—তা আগামী তিন দিনের মধ্যে হলফনামা আকারে জমা দিতে হবে। সাক্ষ্যপ্রমাণের বিশ্লেষণ করে বিকাশরঞ্জনের অভিযোগ, “২০১৭ সালে একবারে ২৯২, পরে আবার ৩০৯ – মুড়ি মুড়কির মতো নিয়োগ হয়েছে।” এ বিষয়ে মামলার পরবর্তী শুনানি বুধবার, এবং আদালত সাফ জানিয়েছে, তখনই বিবেচনা করা হবে পরবর্তী পদক্ষেপ।