আবারও ফিরে এসেছে রোজ নিয়ম করে করোনার খবরে চোখ রাখার দিন। কারণ এই মুহূর্তে দেশজুড়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই শহর কলকাতায় এক করোনা আক্রান্তের মৃত্যু ঘটেছে। এবার জানা গেল কলকাতায় এক বেসরকারি হাসপাতালে এক সাত মাসের শিশু কোভিড পজিটিভ।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিকঃ কলকাতার আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে সাত মাসের একটি বাচ্চা কোভিড নিয়ে ভর্তি। গতকাল তাকে ভর্তি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি শিশুটির মায়েরও কোভিড টেস্ট করা হবে। কারণ শিশুটির মায়েরও করোনা সিম্পটম দেখা দিয়েছে আর যেহেতু এইটুকু বাচ্চা সবসময় মায়ের কাছে থাকে ফলে তার মায়েরও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে।
অন্যদিকে দেশজুড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা। দেশে ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার পর্যন্ত দেশে মোট ৪,৩০২ জন কোভিড আক্রান্ত চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে প্রায় ৩০০ জন সংক্রমিত হয়েছেন। এর মধ্যে সর্বাধিক সংক্রমণ ধরা পড়েছে কেরালায়। এর পাশাপাশি মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা দিল্লি পাঞ্জাবের ক্রমশ ভয়াল আকার ধারণ করছে করোনার এই রক্তচক্ষু।
যাদের শ্বাসকষ্টজনিত রোগ, যেমন হাঁপানি, ফুসফুসের ফাইব্রোসিস, দীর্ঘস্থায়ী বাধাজনিত পালমোনারি রোগ অর্থাৎ সিওপিডি ইত্যাদি আছে তাঁদের এই মুহূর্তে বাড়তি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যেহেতু করোনা ভাইরাস সরাসরি ফুসফুসের ক্ষতি করে, তাই ইতিমধ্যেই শ্বাসযন্ত্রের রোগে ভুগছেন এমন রোগীদের ক্ষেত্রে সংক্রমণ আরও গুরুতর হয়ে উঠতে পারে। তাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের ক্ষমতা ইতিমধ্যেই কম, তাই সংক্রমণের কারণে অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে পারে। তাই এই ব্যক্তিদের জন্য সময়ে সময়ে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা এবং সঠিকভাবে ওষুধ খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
যখন একজন ব্যক্তির একসাথে একাধিক রোগ থাকে , যেমন ডায়াবেটিস বা কিডনির সমস্যা এবং হৃদরোগ, তখন করোনা সংক্রমণ তার জন্য খুবই বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। শরীরে অনেক রোগের কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে, যার ফলে সংক্রমণ প্রতিরোধ করা কঠিন হয়ে পড়ে। এই ধরনের রোগীদের তাদের ডাক্তারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা উচিত এবং আরও সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
এই মুহূর্তে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার নতুন উপপ্রজাতি NB.1.8.1 বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ওমিক্রনের একটি উপপ্রজাতি হল PA.2.86 যা থেকে পরবর্তীকালে JN.1-এর জন্ম হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, এখন এশিয়ার বিভিন্ন জায়গা এবং আমেরিকায় করোনার যে নতুন রূপের সন্ধান মিলেছে সেই NB.1.8.1-র জন্ম হয়েছে JN.1 থেকে। NB.1.8.1-র সংক্রমণ দ্রুত ছড়াতে পারলেও বাড়াবাড়ি রকমের অসুস্থতা তৈরির ক্ষমতা নেই। নতুন উপপ্রজাতির উপসর্গ হিসেবে দেখা যাচ্ছে সর্দি-কাশি-জ্বর, গলা ব্যথা, গা-হাত-পায়ের পেশিতে ব্যথা। কারও কারও ক্ষেত্রে পেট ব্যথা বা পেট খারাপ হচ্ছে।