পরমাণু চুক্তি না হলে ফল ভালো হবে না, এমন হুঁশিয়ারি আগেই দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তাঁর সেই হুমকিকে হেলায় উড়িয়ে দিয়ে পরমাণু বৈঠকে যোগদানই করেনি ইরান। উলটে আমেরিকাকেও দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। এবার আবার পালটা দিলেন ট্রাম্প। তিনিও ইরানকে তছনছ করার কথা জানালেন।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিকঃ একথা এখন প্রায় স্পষ্ট যে ইরানের ওপর ইজরায়েলের হামলার প্রসঙ্গে আগে থেকেই অবহিত ছিলেন ট্রাম্প। পরমাণু চুক্তি নিয়ে ইরানকে হুঙ্কার দিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন চুক্তি না করলে ইরানের ভাগ্যে আরও বড় বিপদ আছে। ইরানও জবাব দিয়েছে। তবে এবার ট্রাম্প বললেন, কোনভাবে ইরান যদি আমেরিকার ওপর আঘাত হানে সেক্ষেত্রে ইরানে এমন হামলা হবে যা আগে হয়নি। তছনছ করে দেওয়া হবে ইরানকে।
মধ্যপ্রাচ্যে যখন তীব্র উত্তাপ তার মাঝেই রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লেখেন, ‘ইরানের উপর যে হামলার ঘটনা ঘটেছে তাতে আমেরিকার কোনও হাত নেই। কিন্তু তারপরও যদি ইরান আমেরিকার উপর কোনওরকম হামলা চালায় বা চালানোর চেষ্টা করে তাহলে আমেরিকা সর্বশক্তি দিয়ে ইরানের উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে। ইরানকে এমন শাস্তি দেওয়া হবে যে ওরা তা স্বপ্নেও ভাবতে পারবে না।’ শুধু তাই নয় ট্রাম্প আরও জানিয়েছেন, আমেরিকা ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে চলা এই সংঘর্ষ থামাতে পারে। তিনি দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা করানোর প্রস্তাব দিয়ে লিখেছেন, ‘‘ইরান এবং ইজ়রায়েলের মধ্যে অনায়াসে আমরা একটা চুক্তি করাতে পারি, এই সংঘাতে ইতি টানতে পারি।’’
শুক্রবার ইজরায়েলি হামলার পর প্রত্যাঘাতের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল তেহরান। শনিবার তারা আমেরিকা, ব্রিটেন এবং ফ্রান্সকেও হুমকি দিয়ে বলেছে, ইজরায়েলকে সাহায্য করলে তাদের সামরিক ঘাঁটিতেও হামলা হবে। সেই প্রসঙ্গেই ট্রাম্পের এই হুমকি। উল্লেখ্য ইরান ধ্বংসের কথা এর আগেও পরমাণু চুক্তিকে কেন্দ্র করে বলেছেন ট্রাম্প। পরমাণু চুক্তিতে রাজি হওয়ার জন্য, ইরানকে ৬০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেন ট্রাম্প। চলতি মাসের গোড়ায় হোয়াইট হাউস থেকে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেইকে এ বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। ট্রাম্পের সেই চিঠির জবাবে ইরান জানিয়েছিল, কোন আলোচনায় তারা বসবে না। ট্রাম্পের এই নয়া হুমকির জবাবে ইরানও জানিয়েছে আমেরিকা তাদের উপর একটাও বোমা ফেললে তার পরিণতি হবে ভয়ঙ্কর। আমেরিকা হামলা করলে তার জবাব দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে ইরানও ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করা শুরু করেছে।