মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং পাক সেনা প্রধান আসিম মুনিরের বৈঠকের আগে ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রায় ৩৫ মিনিট ধরে ফোনে কথা হয়েছে দুই দেশের রাষ্ট্রনেতার।
মাম্পি রায়, সাংবাদিক- বুধবার পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় অনুযায়ী, বেলা একটায় দুপুরের খাওয়া একসঙ্গে সেরে ক্যাবিনেট রুমে বৈঠক দুজনের। কোনও সংবাদমাধ্যমের প্রবেশাধিকার নেই সেই বৈঠকে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং পাক সেনা প্রধান আসিম মুনিরের বৈঠকের আগে ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রায় ৩৫ মিনিট ধরে ফোনে কথা হয়েছে দুই দেশের রাষ্ট্রনেতার। পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠকের আগে নমোর এই ফোনকল যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
জি-সেভেন বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাক্ষাতের কথা ছিল। কিন্তু বিশেষ কারণে তড়িঘড়ি ওয়াশিংটনে ফিরে যান ট্রাম্প। সেজন্য ফোনে কথা হয়েছে দুই রাষ্ট্রনেতার। ৩৫ মিনিট কথা হয়েছে দুপক্ষের। জানালেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি।
জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদী যখন কানাডায় ছিলেন, তখন ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা হয় তাঁর। অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বিস্তারিত জানতে চান ট্রাম্প। তখনই প্রধানমন্ত্রী মোদী স্পষ্ট করে দেন যে, সন্ত্রাসবাদকে আর শুধুমাত্র ছায়াযুদ্ধ হিসেবে দেখছে না ভারত। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওতে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারত পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিঘাঁটিগুলিকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এই বিষয়ে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার কোনও প্রয়োজন নেই বলেও স্পষ্ট করে দিয়েছেন মোদী। তার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ট্রাম্পকে স্পষ্ট জানিয়েছেন, ভারতের অপারেশন সিদুঁর এখনও শেষ হয়নি। পাকিস্তানের গুলির জবাব গোলায় দিয়েছে ভারত। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াই আগামীদিনেও অব্যাহত থাকবে। ট্রাম্প মোদীর এই ফোনালাপকে সংবাদমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন বিদেশ মন্ত্রকের সচিব বিক্রম মিশ্রি।
পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার পর অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানে ঢুকে পরপর ৯টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান। ঠিক তখন দুই দেশকে যুদ্ধবিরতির জন্য রাজি করিয়েছেন বলে দাবি করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবিষয়ে দেশের মধ্যেই বিরোধী দলগুলির প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী সহ কেন্দ্রীয় সরকারকে। যদিও ট্রাম্পের মধ্যস্থতার কথা বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে ভারত। একের পর এক হামলায় পাক সেনার কোমর ভেঙে যাওয়ার পর খোদ পাকিস্তানের ডিজিএমও ফোন করে যুদ্ধবিরতির আবেদন করেছিলেন বলে জানিয়েছিল ভারত। এই নিয়েও জোরালো বিবৃতি দিলেন বিদেশ সচিব। ট্রাম্প ও মোদী একে অপরকে আমন্ত্রণও জানিয়েছেন।
৩৫ মিনিটের ফোনালাপে রুশ-ইউক্রেন, ইজরায়েল ইরান ইস্যুতেও কথা হয়েছে নরেন্দ্র মোদী এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের। শান্তি ফেরানোর জন্য আলোচনা প্রয়োজন বলেও সম্মতি জানিয়েছেন দুই রাষ্ট্রনেতা।