দিল্লির আকাশে দৃশ্যমানতা খুবই কমে যাওয়ায় বিমানটিকে সেখানকার রানওয়েতে নামানো ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। তাই বিকল্প হিসেবে বারাণসীতে নামানো হয়। ইন্দোনেশিয়ার বালি বিমানবন্দরের আশেপাশে একটি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের খবর পাওয়া যায়।
সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- নয়াদিল্লি ও বালি বিমানবন্দরের খারাপ আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে একাধিক এয়ার ইন্ডিয়া বিমানের রুট বদল ও ফ্লাইট বাতিলের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার বালি থেকে দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার AI 2146 ফ্লাইটটিকে খারাপ আবহাওয়ার কারণে দিল্লিতে নামানো সম্ভব না হওয়ায় বারাণসীর লাল বাহাদুর শাস্ত্রী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করানো হয়।
বিমানবন্দর অধিকর্তা পুনীত গুপ্তা জানিয়েছেন, “দিল্লির আকাশে দৃশ্যমানতা খুবই কমে যাওয়ায় বিমানটিকে সেখানকার রানওয়েতে নামানো ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। তাই বিকল্প হিসেবে বারাণসীতে নামানো হয়।” তিনি আরও জানান, ১৮৭ জন যাত্রী নিয়ে বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করে এবং যাত্রীদের জন্য সবরকম প্রয়োজনীয় পরিষেবা নিশ্চিত করা হয়। পরে রাতেই বিমানটি বারাণসী থেকে উড়ে যায় দিল্লির উদ্দেশ্যে।
একইসঙ্গে, বুধবার সকালে দিল্লি থেকে বালিগামী এয়ার ইন্ডিয়া-র আরেকটি বিমান AI 2145-কে মাঝ আকাশ থেকেই দিল্লিতে ফিরে আসতে বলা হয়। কারণ ইন্দোনেশিয়ার বালি বিমানবন্দরের আশেপাশে একটি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের খবর পাওয়া যায়। এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, “১৮ই জুন দিল্লি থেকে বালিগামী AI 2145 ফ্লাইটটিকে গন্তব্যে ঝুঁকি না নিয়ে নিরাপদভাবে দিল্লিতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সমস্ত যাত্রীকে সুরক্ষিতভাবে নামানো হয়েছে।” একই দিনে দিল্লি বিমানবন্দরে প্রবল খারাপ আবহাওয়ার কারণে মোট ১৪টি ফ্লাইট অন্যত্র ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৬টি গিয়েছে ভোপাল, ৩টি চণ্ডীগড়, ২টি অমৃতসর, এবং একটি করে ফ্লাইট গিয়েছে আমেদাবাদ, বারাণসী ও লখনউতে। একই দিনে দিল্লি বিমানবন্দরে প্রায় ৪০০টিরও বেশি ফ্লাইট দেরিতে চলেছে এবং কিছু বাতিল হয়েছে বলে জানিয়েছে FlightRadar24।
উল্লেখ্য, ১২ই জুন আমেদাবাদে টেক অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই লন্ডনগামী একটি এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পড়ে। সেই ঘটনায় বিমানে থাকা এবং নিচে থাকা মিলিয়ে ২৭০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যান। ওই ঘটনার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ৮০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করেছে এয়ার ইন্ডিয়া।
এয়ার ইন্ডিয়া তাদের এক্স অ্যাকাউন্টে জানিয়েছে, “দিল্লির খারাপ আবহাওয়ার কারণে আমাদের বিমান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে, কিছু ফ্লাইটকে অন্যত্র ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
বিমান চলাচলের এই একের পর এক ব্যাঘাত ও রুট পরিবর্তনের ফলে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভ উভয়ই বেড়েছে। এখন দেখার, এয়ার ইন্ডিয়া ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কীভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।