স্কুল খুললেও গরম কমেনি। তীব্র গরমে নাজেহাল কলকাতা থেকে জেলা। কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭-৩৮ ডিগ্রি। কোনও কোনও জেলার তাপমাত্রা ৪০ পার। এই অবস্থায় স্কুলের খুদেদের কথা ভেবে কয়েকটি জেলা প্রাথমিক বিভাগের ক্লাস সকালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক
দীর্ঘ গরমের ছুটি কাটিয়ে খুলেছে স্কুল দোষটা জুন স্কুল খোলার পর শুরু হয়েছে পুরো দামে পঠন-পাঠন। তবে গরম এখনও কমেনি। কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭-৩৮ ডিগ্রি। বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর এই সব জেলার তাপমাত্রা আরও বেশী। রীতিমতো তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি। এই অবস্থায় স্কুলের খুদেদের কথা ভেবে কয়েকটি জেলা প্রাথমিক বিভাগের ক্লাস সকালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তীব্র গরম ও তাপপ্রবাহের হাত থেকে প্রাইমারির পড়ুয়াদের বাঁচাতে মর্নিং শিফটে ক্লাস নেওয়ার কথা ঘোষণা করল বাঁকুড়া, পূর্বমেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক সংসদ। ২জুন গরমের ছুটি শেষে স্কুল খুলেছে। কিন্ত গরম কমেনি। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর জেলাগুলিতে চলছে গরমের দাপট। শহর কলকাতায় প্রাথমিক বিভাগের ক্লাস মর্নিং অর্থাৎ সকালে হলেও জেলার অধিকাংশ স্কুলে প্রাথমিক বিভাগের ক্লাস বেলায় হয়। এই গরমে বেলায় ক্লাস করতে খুদে পড়ুয়াদের শরীর খারাপ হতে পারে । তাই তাদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে বেলার প্রাথমিক স্কুলগুলিকে মর্নিং শিফটে করার নির্দেশ দিল বেশ করেকটি জেলার প্রাথমিক সংসদ।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক সংসদের তরফ থেকে নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে , এই জেলার সমস্ত প্রাথমিক ও জুনিয়র বেসিক স্কুলগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রচন্ড গরমের জন্য সময় পরিবর্তন করার। প্রাথমিক পর্যায়ের স্কুলগুলি বেলার পরিবর্তে সোম থেকে শুক্র সকাল ০৬.৩০ টা থেকে ১১.০০ টা পর্যন্ত হবে এবং শনিবার ০৬.৩০ টা থেকে ০৯.০০ টা পর্যন্ত হবে। এই নির্দেশ ৪ জুন থেকে ২০ জুন পর্যন্ত কার্যকর হবে। যাতে খুদে পড়ুয়াদের তাপপ্রবাহের তীব্রতা থেকে রক্ষা করা যায় তাই এই সময়টি পুনরায় পরিবর্তন করা হল। বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক সংসদের তরফ থেকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৪জুন থেকে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত প্রাথমিক পর্যায়ের স্কুলগুলি সকালে ক্লাস নেওয়া হবে।
পূরুলিয়া জেলা প্রাথমিক সংসদ ৩ জুন থেকেই তীব্র গরমের হাত থেকে খুদে পড়ুয়াদের বাঁচাতে সকালে ক্লাস নেওয়া শুরু করে দিয়েছে। সূত্রের খবর বীরভূম আরও বেশ কয়েকটি জেলায়ও এই ধরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল জানান, “যখন গরম ছিলোনা তখন সরকার গরমের অজুহাতে স্কুল বন্ধ রেখেছিলো। আর এখন যখন অসহ্য গরম তখন স্কুল খোলা হলো।জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রচন্ড গরম ও আদ্র আবহাওয়া থাকে আমাদের রাজ্যে। এই ছুটি ব্রিটিশ আমল থেকেই চলে আসছে। সরকারের এই খামখেয়ালিপনা বন্ধ করে স্কুলগুলোর হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া উচিত।”