অমরনাথ যাত্রার সময়ে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা রয়েছে মনে করছে প্রশাসন। তাই উপত্যকায় এই বছর ৫০ হাজারেরও বেশি সেনা মোতায়েন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। থাকছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাও।
সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- পহেলগাঁও কাণ্ডের পর সীমান্তবর্তী এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জঙ্গি নাশকতার ঘটনার পর স্বাভাবিক ভাবেই অমরনাথ যাত্রায় নিরাপত্তা দিকটা বিশেষ ভাবে জোর দিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা বিষয়ক বৈঠকও করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অমরনাথ যাত্রার সময়ে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা রয়েছে মনে করছে প্রশাসন। তাই উপত্যকায় এই বছর ৫০ হাজারেরও বেশি সেনা মোতায়েন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। থাকছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাও।
আগামী ৩রা জুলাই থেকে অমরনাথ যাত্রা শুরু হচ্ছে কাশ্মীরে। চলবে ৯ই অগস্ট পর্যন্ত। ৩রা জুলাইয়ে পুণ্যার্থীদের প্রথম বাসটি ছাড়বে শ্রীনগর থেকে। পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে তার আগে ঢেলে সাজানো হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে “অপারেশন শিব”। গত ২৯শে মে জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিং-এর সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পরে মনোজ সিং নিরাপত্তা ব্যবস্থার পর্যালোচনা করেছেন। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যেই অমরনাথের যাত্রাপথের থ্রিডি ম্যাপিং করেছে নিরাপত্তাবাহিনী। যাত্রাপথ, বেসক্যাম্প এবং প্রত্যেকটি স্পর্শকাতর এলাকায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সেনা মোতায়েন থাকবে পুণ্যার্থীদের থাকার জায়গাগুলিতেও। সমগ্র এলাকায় নজরদারির জন্য ড্রোন এবং হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হবে। এ ছাড়াও বডি স্ক্যানার এবং সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবহার করা হবে নজরদারির জন্য। পাশাপাশি নথিভুক্ত পুণ্যার্থীদের রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন ট্যাগ দেওয়া হবে, যাতে তাঁদের গতিবিধি নজরে রাখা যায়।
গত এপ্রিল মাসে জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। তাঁদের মধ্যে ২৫ জন পর্যটক ছিলেন। বাকি এক জন স্থানীয় বাসিন্দা। জঙ্গি নাশকতার পর ভারত পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডে হামলা চালিয়ে ৯টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে। তার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতের আবহও তৈরি হয়। যদিও পরে ২ দেশ সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয়। এখনও পর্যন্ত তাই বহাল রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অমরনাথ যাত্রায় নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন সরকার।