চাকরিহারাদের আগের চাকরি ফেরাতে সক্রিয় রাজ্য শিক্ষা দফতর। চাকরিহারিয়ে পুরনো চাকরিতে ফিরে যাওয়ার জন্য আবেদন পড়েছে প্রায় দেড় হাজার। সুপ্রিম নির্দেশ মেনে শিক্ষা দফতরের প্রথম পদক্ষেপ। পুরনো চাকরিতে ফিরে যাওয়ার জন্য যোগ্য প্রার্থীরাই বিবেচ্য হবেন! নির্দেশিকায় উল্লেখ।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক- ২০১৬ সালের প্যানেল নিয়ে ব্যাপক দূর্নীতির অভিযোগ। যার ফলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্যানেল বাতিল হওয়ায় চাকরি হারাতে হয়েছে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীকে। সুপ্রিম নির্দেশ মেনে শিক্ষা দফতরের প্রথম পদক্ষেপ। ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেলভুক্ত চাকরিহারাদের পুরনো চাকরিতে ফেরাতে উদ্যোগ গ্রহন করল রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ৪৭ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা ছিল, যাঁরা পুরনো চাকরিতে ফিরে যেতে চাইলে তাঁরা আবেদন করতে পারেন। সেই আবেদন করার তিন মাসের মধ্যে আবেদনকারীদের পুরনো চাকরিতে ফেরানোর ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্যকে। সেই নির্দেশ মত এবার সক্রিয় ভূমিকা পালন করল রাজ্য শিক্ষা দফতর।
শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, পুরনো চাকরিতে ফিরে যাওয়ার জন্য যোগ্য প্রার্থীরাই বিবেচ্য হবেন। তিন দিনের মধ্যে ডিআই দের সমস্ত নথি যাচাই করে শিক্ষা দফতরে পাঠাতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণার পর থেকেই পুরনো সরকরি চাকরিতে ফিরে যেতে আবেদন করতে শুরু করেন চাকরিহারাদের একাংশ। আবেদন পত্র জমা পড়তে শুরু হয় বিকাশ ভবন, কমিশনার, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, প্রাইমারি, জেলা প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিলে। অনেকে আবার মাদ্রাসা এবং এসএসসি দফতরে দরখাস্ত জমা করেন। সূত্রের খবর, প্রায় দেড় হাজার আবেদন জমা পড়েছে।তাঁদের বিষয়েই ডিআইদের থেকে তথ্য চেয়ে পাঠাল স্কুল শিক্ষা দফতর।বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘যে দিন সুপ্রিম কোর্ট অর্ডার দিয়েছিল, তার কয়েক দিন পরেই আমরা মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব এবং শিক্ষা দফতরের আধিকারিক, মাদ্রাসার আধিকারিকদের দ্রুত পদক্ষেপ করার অনুরোধ করেছিলাম, যাতে এঁরা আগের পদে যোগদান করতে পারেন। সরকার যেহেতু অযোগ্যদের ভাতা দেওয়ার ব্যাপারে বেশি মনোযোগী ছিল, তাই এত দেরি করে পদক্ষেপ করা হল। আমাদের অনুরোধ, এঁদের প্রত্যেককে নিজের জেলায় পোস্টিং দিয়ে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হোক।’’
শিক্ষা দফতরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, যারা যোগ্য তারাই পুরনো চাকরিতে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিবেচ্য হবেন। নির্দেশের পাশাপাশি ফরম্যাট পাঠিয়েছে রাজ্য শিক্ষা দফতর। সেই ফরম্যাট পুরোন করে ডিআই -দের পাঠাতে হবে স্কুল শিক্ষা দফতরে। ডিআই দের যেমন জানাতে হবে, আগে কোথায় চাকরি করতেন আবেদনকারীরা। সেই চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর অ্যাপ্রুভাল’ হয়েছিল কি না, তা-ও জানাতে হবে, বেতন ঠিক মত পাচ্ছিলেন কিনা। ট্রান্সফার হয়েছিল কি না। সব কিছু জানাতে হবে ডিআই দের। ডিআই দের সব তথ্য জানাতে হবে তিন দিনের মধ্যে। সব তথ্য,শিক্ষাবদফতরে জমা দিতে তৎপর ডিআই-রা।