সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে এসএসসি নতুন করে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। তবে একই চাকরির জন্য বারবার পরীক্ষায় বসতে নারাজ চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকারা। তবে শিক্ষামন্ত্রীর সাফ কথা, “পরীক্ষা যথা সময়ে নেওয়া হবে।”
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক- সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চলতি বছরের ৩ এপ্রিল বাতিল হয়েছে ২০১৬ সালের এসএসসি-র প্যানেল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে নতুন করে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে এসএসসি। তাতে বলা হয়েছে আগামী ১৬ জুন থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। এই অনলাইনে আবেদন করার শেষ তারিখ ১৪ জুলাই। লিখিত পরীক্ষা হতে পারে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ। লিখিত পরীক্ষার ফলপ্রকাশ সম্ভাব্য তারিখ অক্টোবরের চতুর্থ সপ্তাহে। ইন্টারভিউয়ের সম্ভাব্য সময় নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে তৃতীয় সপ্তাহ। এবং প্যানেল প্রকাশিত হবে ২৪ নভেম্বর। কাউন্সেলিং এবং নিয়োগের প্রস্তাব সংক্রান্ত ঘোষণা হতে পারে ২৯ নভেম্বর। তবে সেই পরীক্ষায় বসতে নারাজ চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকারা। তাঁদের দাবি রিভিউ পিটিশনের আগে নতুন নিয়োগ নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না। পাশাপাশি চাকরিহারারা এসএসসি-র জারি করা ফর্ম পূরণের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের দাবি তুলেছে। এই দাবিকে কেন্দ্র করে আন্দোলনের ঝাঁঝ ক্রমশ বাড়ছে। তবে শিক্ষামন্ত্রীর সাফ কথা ‘পরীক্ষা যথা সময়ে নেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পরীক্ষা নিয়ে মামলা হয়েছে এবং তাতে রাজ্য জিতেছে। একাংশ পরীক্ষা নিয়ে কী করছেন, তা জানি না। তবে, অধিকাংশই এখন পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত।’’
অন্যদিকে একই চাকরির জন্য বারবার একই পরীক্ষায় না বসার গোঁ ধরে বসে রয়েছেন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকারা। রাজ্য সরকারের ভূমিকা ও সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কার্যত হতাশ চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকারা। তাই ন্যায় বিচারের আশায় রাষ্ট্রপতিকে যেমন চিঠি পাঠিয়েছেন ‘যোগ্য’ শিক্ষকেরা। তেমনই একই সঙ্গে সর্বভারতীয় স্তরের রাজনৈতিক দলের নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চিঠি পাঠিয়েছেন তাঁরা।