লক্ষ্মীকান্তপুর স্টেশনে থাকা সরকারি টিকিট পরীক্ষকদের বিষয়টি নজরে আসে। পরীক্ষকের জামার বুকে লাগানো নেমপ্লেটটি দেখেই তাদের সন্দেহ হয়।
বিশ্বজিৎ নস্কর, সাংবাদিক, দক্ষিণ ২৪ পরগনা- পরনে কালো প্যান্ট ও সাদা জামা। নিজেকে টিকিট পরীক্ষক পরিচয় দিয়েই শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার লক্ষ্মীকান্তপুর স্টেশনে রেল যাত্রীদের টিকিট পরীক্ষা করছিলেন বছর পঁয়তাল্লিশ এক ব্যক্তি। জামার বুকে লাগানো ছিল একটি নেমপ্লেট। যেখানে লেখা ছিল চিফ টিকিট ইন্সপেক্টর (CIT) হাওড়া। দেখে বোঝার উপায় ছিল না যে তিনি ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক। লক্ষ্মীকান্তপুর স্টেশনে থাকা সরকারি টিকিট পরীক্ষকদের বিষয়টি নজরে আসে। পরীক্ষকের জামার বুকে লাগানো নেমপ্লেটটি দেখেই তাদের সন্দেহ হয়। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার টিকিট পরীক্ষক অথচ নেমপ্লেটে লেখা আছে হাওড়া। তারপরেই তারা মধ্যবয়সী ওই টিকিট পরীক্ষককে চেপে ধরতেই তিনি জানান, কোন এক ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি এই কাজটি পেয়েছেন টাকার বিনিময়ে। তারপরেই লক্ষীকান্তপুর স্টেশনে থাকা সরকারি টিকিট পরীক্ষকরা বারুইপুর আরপিএফকে খবর দেয়। বারুইপুর থেকে আরপিএফ-এর একটি টিম গিয়ে ওই ভুয়ো টিকিট পরীক্ষককে নিয়ে আসে এবং রাতে বারুইপুর জিআরপির হাতে তারা তুলে দেয়। ভুয়ো টিকিট পরীক্ষকের নাম সুপ্রতীক কুমার ব্যানার্জি। বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর। তার বাড়ি দিল্লিতে। সে কয়েক বছর ধরেই দক্ষিণ বারাসাতে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
ধৃত ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক সুপ্রতীক কুমার ব্যানার্জিকে রবিবার শিয়ালদহ আদালতে পেশ করা হলে নিজেদের হেফাজতে পায় বারুইপুর জিআরপি। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক কার কাছ থেকে এই কাজ পেয়েছিল এবং এর আগে সে কোথায় কোথায় এই কাজ করেছে এবং এর পিছনে কোন চক্র আছে কিনা তা জানার চেষ্টা করছে।