আফগানিস্তান সীমান্তের উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলার দত্তা খেল এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে ১৪ জন বিদ্রোহী নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) বা তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) আগে থেকেই পাকিস্তানের মাথা ব্যথার কারণ ছিল। তবে সাম্প্রতিককালে দেখা যাচ্ছে পাকিস্তানে আরও এক বিপ্লবী গোষ্ঠী মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে যার নাম, ফিতনা-আল-খাওয়ারিজ।
পাকিস্তান প্রশাসনের নিশানা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই গোষ্ঠী। মঙ্গলবার ভোর থেকে আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে শুরু হয়েছে সেনা অভিযান। পাক সেনার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দফতর (আইএসপিআর) বুধবার জানায়, এখনও পর্যন্ত আফগানিস্তান সীমান্তের উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলার দত্তা খেল এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে ১৪ জন বিদ্রোহী নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। ফিতনা-আল-খাওয়ারিজ আদতে টিটিপি-র মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠী বলেই দাবি ইসলামাবাদের। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠী “হক্কানি নেটওয়ার্ক”-এর নিয়ন্ত্রণে এক সময়ে ছিল উত্তর ওয়াজিরিস্থান।
“ভারত বিরোধী” হিসাবে পরিচিত ওই গোষ্ঠীর নেতা সিরাজুদ্দিন হক্কানি আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। তবে সম্প্রতি আফগান প্রধানমন্ত্রী হাসান আখুন্দ, উপপ্রধানমন্ত্রী আব্দুল গণি বরাদর এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লা মহম্মদ ইয়াকুবের দ্বন্দ্বের ফলে মাস কয়েক আগে সিরাজুদ্দিন ইস্তফা দিয়ে রাজধানী কাবুল ছেড়ে চলে গেছেন বলে জানা যায়। ঠিক তার পরেই, টিটিপি ঘনিষ্ঠ ফিতনা-আল-খাওয়ারিজের দখলে চলে যায় আফগান লাগোয়া উত্তর ওয়াজিরিস্তান।