বিচারককে এজলাসে হেনস্থার অভিযোগে সাত আইনজীবীকে দোষী সাব্যস্ত করল কলকাতা হাই কোর্ট। তবে এই মুহূর্তে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়ে দিল ডিভিশন বেঞ্চ।
ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক- বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সব্বর রশিদির বেঞ্চ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে— “এখনই ব্যবস্থা নিচ্ছি না, তবে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঘটলে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে, বনগাঁ আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক সেকেন্ড কোর্টে। বিচারক সোমা চক্রবর্তী নিয়মমাফিক শুনানি চালানোর সময়, হঠাৎ আদালতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একজন ল ক্লার্কের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আদালতে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন ল ক্লার্ক ও আইনজীবীরা। কিন্তু সেই সময় বিচারক শুনানি চালিয়ে যান। এর পরেই কিছু আইনজীবী এজলাসে প্রবেশ করে চিৎকার-চেঁচামেচি ও প্রতিবাদ শুরু করেন। আইনজীবীদের দাবি ছিল, যৌথ বারের পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়েছিল যে মামলার কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। তা সত্ত্বেও শুনানি চালানোয় তাঁরা প্রতিবাদ করেন।
ঘটনার চাপে অসুস্থ হয়ে পড়েন বিচারক সোমা চক্রবর্তী, তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এই ঘটনার পর হাই কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা রুজু করে এবং দীর্ঘ শুনানির শেষে সাত জন আইনজীবীকে দোষী সাব্যস্ত করে। হাই কোর্টের স্পষ্ট বার্তা— ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে কোনও রকম রেয়াত করা হবে না।