১৪ জুন কাজে বেরিয়ে বাড়ি ফেরা হল না মডেল শীতল ওরফে সিম্মী চৌধুরীর,অভিযোগ জানালেন তার বোন ।দেহ আঘাতের চিহ্ন দেখে প্রাথমিক ভাবে খুনের অনুমান।
মৌসুমী সাহা, সাংবাদিক- গত ১৪ই জুন থেকে নিখোঁজ থাকার পর হরিয়ানার সংগীত শিল্পী-মডেল শীতল ওরফে সিম্মি চৌধুরীর মৃতদেহ উদ্ধার সোনিপত এর খারখোদার একটি খালে। নিখোঁজ থাকার পর তার বোন নেহা অভিযোগ দায়ের করে পানিপত থানায়। গলাকাটা অবস্থায় পাওয়া যায় শীতলের দেহ ।পানিপাতের বাসিন্দা শীতল ওরফে সিম্মি চৌধুরীর। হাত এবং বুকের ট্যাটু দেখেই তাকে সনাক্ত করা হয়। শীতল হারিয়ানভি মিউজিক ভিডিওতে কাজ করতেন এবং তার বোন নেহার সাথে খালিলা মাজরায় থাকতেন। তার বোন জানান , গত ১৪ই জুন শুটিং-এ গিয়েছিলেন তিনি ,কিন্তু বাড়ি ফেরেননি। শীতল অনেক গানের শুটিং করেছেন , কাজের সুবাদে সুনীলের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে শীতল এর ।সুনীল বিবাহিত হওয়া সত্বেও বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ায় শীতল তাকে প্রত্যাখ্যান করে এবং কাজও বন্ধ করে দেয় ।কিন্তু সুনীল তার পিছু ছাড়েনি।যে গাড়িটি খালে পাওয়া গেছে তাতে সুনীল ও ছিলেন। এমনকি শুটিং লোকেশনে পৌঁছে শীতল কে মারধর পর্যন্ত করে সুনীল। সেখান থেকেই শীতল ফোন করে তার বোন নেহাকে জানায় তার প্রেমিক তাকে মারধর করেছে। এমনকি তার ঘাড়ে আঘাত লেগেছে বলেও জানায় সে। তারপরেই সেদিন আর বাড়ি ফেরেনি শীতল।এরপরই বোন নেহা অভিযোগ জানায় থানায়। পুলিশও তদন্ত শুরু করে। গলা কাটা অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয় শীতলের।এমনকি খালে পাওয়া যায় তার গাড়িও।যে গাড়িতে তার প্রেমী সুনীল ও ছিল। তার বোনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ময়না তদন্ত শুরু করেছে সোনিপত থানার পুলিশ ।সিভিল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে দেহটিকে।তদন্তের পর জানা যাবে আসল হত্যার রহস্যটি।তবে পরিবারের তরফে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে।