ইলেকশনের আগে পলিটিকাল প্রপাঙ্গান্ডা? নাকি সত্যি ভালো কিছু? কোনো নতুনত্ব আছে? নাকি সেই এক ছাছে আবার এক গল্প? কি আছে পঞ্চায়েত ৪ এ ?
চক্রযুদ্ধ ঘোষ, সাংবাদিক- পঞ্চায়েত সিজন ৪-এর ট্রেলারটি উল্লেখযোগ্য আলোচনার জায়গা করে দিয়েছে। যেখানে ফুলেরায় এবার একটি ইলেকশন হবে। ২.৩৮ মিনিটের এই ক্লিপটিতে মঞ্জু দেবী (নীনা গুপ্তা) এবং ক্রান্তি দেবী (সুনীতা রাজওয়ার) এর মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখানো হয়েছে, যেখানে তারা একটি উত্তপ্ত নির্বাচনী লড়াইয়ে লিপ্ত হয়েছেন। ভালো ভাবে ট্রেইলার টি দেখলে বোঝা যায় যে মেকর্স রা এবার খুব একটা কিছু পাল্টায়নি। তাদের বাদবাকি সিজানের মতন ই হতে চলেছে এই সিজানটি।
ট্রেলারটিতে সঙ্গীত, দুষ্টামি মিশ্রণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, কিন্তু এগুলি পঞ্চায়েতের সব সিজানেই আমরা দেখে নিয়েছি। এসব দর্শকের কাছে আর নতুন নেই। সেই এক কমেডি, সেই এক চরিত্রগুলির সরলতা এবং একই ধাচের একটি গল্প।
ট্রেলারটি একটি উচ্চ-বাঁধা, হাসি-ঠাট্টাপূর্ণ গল্প বলার চেষ্টা করে যেখানে দেখানো হচ্ছে যে ফুলেরা তে বেশ ভালোই পঞ্চায়েতের লড়াই হবে। নীনা গুপ্তের মঞ্জু দেবী কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করে, তার চরিত্রের বিকাশ এবং গভীরতা প্রদর্শন করে, কিন্তু ট্রেইলার আমরা সেই একই ভাবে তার চরিত্র টি দেখি, যেটি আমরা বাদবাকি সীজান ধরে দেখে আসছি। তাকে ঘিরে এবারের গল্পটি হলেও তার চরিত্রে কোনো নতুনত্ব আমরা দেখতে পাই নাহ।
রোমান্টিক আন্ডারটোনস: শচীব জি (জিতেন্দ্র কুমার) এবং রিঙ্কির মধ্যে একটি সূক্ষ্ম রোমান্স শোতে একটি নতুন গতিশীলতা যোগ করে। তবে তাদের প্রেমের দৃশ্য আমরা বাদবাকি সিজান গুলিতেও দেখেছি। এই সিজানে তাদের হাভাভাব বা চাল চলনে কোনো বৃদ্ধি নেই।
ট্রেলারটিতে পঞ্চায়েত সিরিজের হাস্যরস, ব্যঙ্গ এবং গ্রাম্য আকর্ষণের মিশ্রণ দেখানো হয়েছে, যা পঞ্চায়েত সিরিজের স্বাক্ষর উপাদান হলেও সেই পুরোনো ব্যাপার টি ফর্মুলার মতন ব্যবহার করা হয়েছে। সেই কানে হেডফোন দিলে গ্রামবাসীদের টোন টিটকিরি থেকে বাঁচা, বা নিনা গুপ্তার নিজেকে ইতি গরুর সাথে গুলিয়ে ফেলা।
প্রাইম ভিডিওতে ২৪শে জুন ২০২৫ তারিখে মুক্তির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে, ভক্তরা নতুন সিজনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। ট্রেলারটি নেটিজেনদের কে একটি একঘেয়ে ব্যাপার এনে দিয়েচ্ছে। দর্শকদের চোখে ক্লান্তি না চলে এলেই ভালো। সময় বলবে যে দর্শক এই সিজানটি কে কতটা ভালোবাসা দেয়, নাকি এটির ফর্মুলার মতন গল্পটি দেখে তারা ক্লান্তি প্রকাশ করে, মেকর্স দের কে কিছু নতুনত্ব তৈরী করার জন্যে বাধ্য করে।