টনায় এখনও পর্যন্ত সাড়ে ৫০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে। প্যারিসের এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রিতালিয়েউর মন্তব্য করেন যে, বর্বররা প্যারিসের রাস্তার দখল নিয়েছে।
সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- মিউনিখে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছে প্যারিস সাঁ জাঁ। এই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের জয়ের সেলিব্রেশন চলছিল প্যারিসে। এই সেলিব্রেশনকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে প্যারিস। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী প্রাণ হারিয়েছেন ২ জন। আহতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সাড়ে ৫০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে। প্যারিসের এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রিতালিয়েউর মন্তব্য করেন যে, বর্বররা প্যারিসের রাস্তার দখল নিয়েছে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা ছিল প্যারিসের ২টি স্টেডিয়ামে। প্রায় ৫০ হাজার পিএসজি সমর্থক সেখানে ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন। ম্যাচ শেষে অশান্তির আশঙ্কা ছিলই। সেই মতোই আগে থেকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল এই দুটি স্টেডিয়ামের বাইরে। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর সেলিব্রেশনে মত্ত মানুষের সামনে খড়কুটোর মতো উড়ে যায় পুলিশবাহিনী। ম্যাচ শেষ হওয়ার পরে পথে নেমে উন্মত্তের মতো সেলিব্রেশন শুরু করে প্যারিসের সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। তবে তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে না। সেলিব্রেশনের নামে একাধিক গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পোড়ানো হয় বাস স্ট্যান্ডের মতো একাধিক সরকারি সম্পত্তি। পুলিশকে লক্ষ্য করে মশাল ছোঁড়ে মানুষ। সারারাত ধরে সব মিলিয়ে ১০০-র বেশি জায়গায় আগুন ধরানো হয় বলে অভিযোগ। রণক্ষেত্র প্যারিসের এই পরিস্থিতিতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ১৭ বছর বয়সি এক কিশোরকে কুপিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের সেলিব্রেশনের যোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও সেলিব্রেশন চলার সময় গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যুও হয় এক ব্যক্তির। ইতিমধ্যেই পিএসজি তারকারা বারবার ভক্তদের শান্ত থাকতে অনুরোধ জানিয়েছেন। যদিও সেই চেষ্টা তাঁদের ব্যর্থ গেছে।