আধুনিক জীবন যাত্রায় যোগ ব্যায়াম এর ভূমিকাকে স্মরণ করিয়ে দিতে প্রতি বছর ২১ সে জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালিত হয়। শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করা থেকে শুরু করে মানসিক শক্তি বাড়ানো,ভালো ঘুম থেকে সামগ্রিক স্বাস্থ্যর উন্নতির জন্য যোগ এর কোনো বিকল্প নেই। এমন কি চিকিৎসকরা চিকিৎসার পাশাপাশি যোগ এর পরামর্শ দেন।
মৌসুমী সাহা, সংবাদিক- ২০১৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের প্রস্তাব করেছিলেন। তিনি যোগ এর উপকারিতা সম্পর্কে জোরালো বক্তব্য রাখেন যা আলোড়ন তোলে এবং সমর্থন ও মেলে । এর পর থেকে ২১ জুন জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিক ভাবে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ২০১৫ থেকে উদযাপন শুরু হয়।
এই বছর ১১তম যোগ দিবস। “এক পৃথিবী , এক স্বাস্থ্যের জন্য যোগ “এ বছরের থিম নির্বাচিত হয়েছে। যোগের মাধ্যমে শরীরের পেশী গুলিকে শক্ত করতে সহায়তা করে, যোগীর নিয়মিত অনুশীলন রক্তচাপ কমাতে এবং রক্ত সঞ্চালনকে উন্নত করতে সাহায্য করে, নিয়মিত চোখ অভ্যাসের ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস উন্নত হয়, শরীরের নানা অংশের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে এই যোগ ব্যায়াম। মানসিক চাপ কমাতে ,মেজাজ ভালো রাখতে ,ভালো ঘুমের জন্য এবং মনোযোগ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে যোগ ব্যায়াম। বলা ভালো আমাদের মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে যোগ ব্যায়াম। উদ্বেগ বিষন্নতা বা মানসিক চাপে যারা ভুগছেন তাদের জন্য বেশ কিছু যোগ খুব উপকারী হতে পারে।
যোগ ব্যায়ামের জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অনুশীলনের প্রয়োজন হয় না প্রতিদিন মাত্র কয়েক মিনিট সচেতনতা আপনার শারীরিক এবং মানসিক অনুভূতিতে সত্যিকারের পরিবর্তন আনতে পারে। এই আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের এটাই হোক অঙ্গীকার।