সাতবারের অপেক্ষার অবসান। অবশেষে বুধবার অ্যাক্সিয়ম ৪ মিশনে মহাকাশে পাড়ি দিতে চলেছেন শুভাংশু শুক্লা এবং তাঁর সহযাত্রীরা। এর আগে সাতবার তাঁদের যাওয়া বিভিন্ন কারণে পিছিয়ে গিয়েছে। তবে এবার মিলেছে গ্রিন সিগন্যাল তাই শুরু হয়েছে নতুন ইতিহাস তৈরির কাউন্টডাউন। বুধবার ফ্লোরিডাতে অবস্থিত নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে যাত্রা শুরু করবেন তাঁরা।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিকঃ রাকেশ শর্মার ৪১ বছর পর আবার কোনও ভারতীয় মহাকাশচারী মহাকাশে পা রাখবেন। লখনউয়ের ছেলে শুভাংশুর মহাকাশ অভিযানের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। বুধবার ভারতীয় সময় বেলা ১২টা ১ মিনিটে মহাকাশে পাড়ি দিতে পারেন মহাকাশচারী শুভাংশুরা। এই অভিযানে তাঁর সঙ্গে মিশন কমান্ডার হিসেবে থাকছেন আমেরিকা পেগগি হুইটসন। তাঁদের সঙ্গে যাবেন পোল্যান্ডের সাওস উজ়নাস্কি-উইনিউস্কি এবং হাঙ্গেরির টিবর কাপু। এই অভিযানে পাইলট হিসেবেই থাকবেন শুভাংশু। দুই সপ্তাহেরর জন্য যাচ্ছেন তাঁরা। ১৪ দিনের এই মিশনে ব্যবহার করা হবে স্পেসএক্স ড্রাগনের স্পেসক্রাফট। উল্লেখ্য, সুনীতা উইলিয়ামদের ফিরিয়ে আনতেও ব্যবহার করা হয়েছিল স্পেসএক্স ড্রাগনের স্পেসক্রাফট। এই অভিযানের আগে শুভাংশু বলেছেন, ‘দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। অভিযান যাতে সফল হয়, তার জন্য সকলকে প্রার্থনা করার অনুরোধ করছি।’
মঙ্গলবারই মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়ে দেয় বুধবারই চূড়ান্ত হয়েছে শুভাংশুদের মহাকাশ যাত্রার দিন। তাঁদের গন্তব্য আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন। সেখানেই আপাতত তাঁরা থাকবেন। বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষা চালাবেন। নাসা এবং ইসরোর যৌথ উদ্যোগে দলটি এই কাজ করবে। প্রথমে ঠিক ছিল ২৫ মে অভিযান শুরু হবে। তারপর থেকে বারবার পিছিয়েছে অভিযানের তারিখ। প্রথমে তা পিছিয়ে ৮ জুন হয়। শেষবার দিন ধার্য হয়েছিল ২২ জুন। তাও পিছিয়ে যায়। বিভিন্ন যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এই অভিযানের ছাড়পত্র মিলছিল না কিছুতেই তবে এবার সমস্ত অপেক্ষার অবসান। শুভাংশুদের যান এবশেষে চূড়ান্ত কাউন্ট ডাউন শেষে উড়ে যাবে মহাকাশে।
উত্তর প্রদেশের রাজধানী লখনউয়ের বাসিন্দা শুভাংশু শুক্লা। প্রায় ১৮ বছর আগে তিনি ভারতীয় বায়ুসেনায় যোগ দিয়েছিলেন। গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লার দিদি জানিয়েছেন, কার্গিল যুদ্ধই ছিল তাঁর বাহিনীতে যোগদানের অনুপ্রেরণা। ১৯৯৯ সালে, কার্গিল যুদ্ধের সময় গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুক্লর বয়স ছিল মাত্র ১৪ বছর। কিন্ত, ভারতীয় সেনাদের বীরত্ব ও আত্মত্যাগের বীরগাথা পড়তে পড়তেই তিনি ঠিক করে নিয়েছিলেন সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দেবেন।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই মিশন শুরু জন্য আবহাওয়া একেবারে অনুকূল। তাই ইতিহাস তৈরির অপেক্ষা করতে কাউন্টডাউন করছে গোটা দেশ।