গরমের মরশুম মানে নানান ধরনের ফলের সমাহার। গরমের দিনে আম,কাঁঠাল, লিচু, তার পাশাপাশি কালো জামের দেখা মেলে। গরমের দিনে কালো জামের সঙ্গে লঙ্কা দিয়ে খাবার আনন্দ বহু বাঙালি বাড়িতে আজ ও চোখে পড়ে।
মৌসুমী সাহা,সাংবাদিক- জাম খেলে মুখের স্বাদ বাড়ে। শুধু কি তাই, পুষ্টি গুণেও ভরা এই জাম।একাধিক রোগের নিরাময় সম্ভব জাম খাওয়া হলে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে জামের গুরুত্ব অপরিসীম । ত্বকের সমস্যা থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেসার সহ একাধিক রোগের সমস্যা কেটে যেতে পারে জাম খেলে।
জামে রয়েছে ভিটামিন সি এবং আয়রন যা ব্লাড পরিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে।ত্বকে দাগ দূর করতে সাহায্য করে। চোখ ভালো রাখতেও জামের উপকারিতা অসীম। হার্ট এর সমস্যা কমাতে সাহায্য করে কারণ এতে আছে পটাশিয়াম, যার ফলে উচ্চরক্তচাপ কমে। দাঁত ভালো রাখতে সাহায্য করে জাম। এতে আছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম যা দাঁত এবং হাড় কে মজবুত করে। শুধু মাত্র জাম নয় তার বীজ ও সমান ভাবেই গুরুত্বপূর্ণ। জামে রয়েছে আন্টি ব্যাকটেরিয়াল পুষ্টিগুণ। টাইপ টু ডায়াবেটিস এ উপকারী জাম। ব্লাড সুগার কে নিয়ন্ত্রন করে জাম। এছাড়াও হজমেও সাহায্য করে জাম।
তবু জাম কিছু মানুষদের খাওয়া উচিত নয় ।যাদের ইরিটেবল বাউল সিন্ড্রোম আছে তারা জাম খাবেন না। যাদের লো ব্লাড প্রেশার আছে তারাও খাবেন না কারণ তাদের রক্ত চাপ আরও কমতে পারে এবং দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যাদের কিডনি তে পাথর রয়েছে তারা এবং যারা প্রেগনেন্ট এবং যে মেয়েরা দুধ খাওয়ান বাচ্চাদের তাদের খাদ্য তালিকা থেকে জাম বাদ দিতে হবে। তবে মাথায় রাখা দরকার খালি পেটে জাম খাওয়া কখনোই উচিত নয়।