ভারতীয় সময়ে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ৪৭ নাগাদ ল্যান্ড হওয়ার কথা ছিল জাপানি চন্দ্রযানটির। পৃথিবী থেকে নিয়ে যাওয়া মুন হাউস বসানো সম্ভব হয়নি বরং ল্যান্ড করার আগেই আছড়ে পড়ে রেসিলিয়েন্স।
সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- চাঁদে পাড়ি দিয়েছিল জাপানের চন্দ্রযান। গোটা বিশ্ব প্রতীক্ষায় ছিল জাপানের চন্দ্র অভিযান মিশন নিয়ে। তবে চাঁদের মাটিতেই আছড়ে পড়ল চন্দ্রযান। ব্যর্থ হল মিশন। সে দেশের একটি বেসরকারি সংস্থা এই চন্দ্রযান পাঠিয়েছিল। হাকুতো ২ অভিযানে চাঁদের মাটি ছোঁয়ার কথা ছিল ল্যান্ডার রেসিলিয়েন্সের।
হালকা পালকের মতো শুধু চাঁদের মাটি ছোঁয়া নয়, চাঁদের দুর্গম উত্তর মেরুর সি অফ কোল্ড বা শীতল সমুদ্রের বুকে নামার কথা ছিল চন্দ্রযানের। ভারতীয় সময়ে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ৪৭ নাগাদ ল্যান্ড হওয়ার কথা ছিল জাপানি চন্দ্রযানটির। পৃথিবী থেকে নিয়ে যাওয়া মুন হাউস বসানো সম্ভব হয়নি বরং ল্যান্ড করার আগেই আছড়ে পড়ে রেসিলিয়েন্স। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, চন্দ্রযানের গতিবেগ কমানো যায়নি বলে অভিযান অসফল হয়। মাটি ছোঁয়ার আগের মুহূর্তেও এই চন্দ্রযানের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৮৭ কিলোমিটার, চাঁদের মাটি থেকে দূরত্ব ছিল ২২৩ মিটার। এক মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে মাটি ছোঁয়ার কথা ছিল, তা হওয়ার আগেই বিপত্তি ঘটে বলে ধারণা।ল্যান্ডারটিকে বানানো হয়েছিল অত্যন্ত সন্তর্পনে।
চাঁদের বাড়ি বা মুন হাউসটি তৈরি করা হয়েছিল সুইডিশ বাড়িগুলির আদলে। মানবসভ্যতার সাফল্যের প্রতীক হিসেবে সেই বাড়িটিকে চাঁদের মাটিতে নামানোর কথা ছিল। ল্যান্ডারটির উচ্চতা ছিল ২.৩ মিটার। সব কিছু মোটামুটি থাকলে ১৪ দিন ধরে চাঁদের উত্তর মেরুতে গবেষণা চালাত রেসিলিয়েন্স। যেহেতু ১৪ দিন পর চাঁদের রাত নামবে, তার আগেই গবেষণা সফল করার কথা ছিল। যার মধ্যে ছিল চাঁদের মাটি থেকে নমুনা সংগ্রহ করা, ছবি তোলা। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সঙ্গে এই নিয়ে চুক্তিও হয় আইস্পেস-এর।