ফের একবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ-এর ইচ্ছে নিয়ে কালীঘাটে যান চাকরিহারাদের ৩জন প্রতিনিধি। কিন্তু এদিনও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়নি তাঁদের।
নাজিয়া রহমান সাংবাদিক
রবিবার ফের একবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করার ইচ্ছে নিয়ে কালীঘাট যান চাকরিহারাদের ৩জন প্রতিনিধি। তবে এদিনও হল না মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা। রবিবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর দরবার বসে। এই কথা নাকি জানতে পারেন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকারা। তাই এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করতে তিন জন যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকা চলে যান কালীঘাটে। এরআগে গত বৃহস্পতিবার কালীঘাটে যান ৬ জন চাকরিহারা শিক্ষিকা। ইচ্ছে ছিল সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী সামনে তাঁরা তাঁদের বক্তব্য পেশ করবেন। কিন্তু বৈধ অনুমতি পত্র না থাকায় ৬ জন চাকরিহারা শিক্ষিকাকে আটক করে কালীঘাট থানার পুলিশ। আটক করে তাঁদের কালীঘাট থানায় নিয়ে গিয়ে বসিয়ে রাখা হয়। ছয় চাকরিহারা শিক্ষিকার নাম সঙ্গীতা সাহা, রূপা কর্মকার, স্মার্তি রায়, নুর আমিনা গুলশন, শিল্পী চক্রবর্তী এবং সাহানি নাজনিন। কেন তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ী এসেছেন? প্রশ্নের উত্তরে চাকরিহারা তাঁরা জানান ‘‘আমরা কোনও আন্দোলন বা বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে আসিনি। আমরা জানতে এসেছিলাম, এতবছর ধরে সম্মানের সঙ্গে চাকরি করার পরেও পরীক্ষা দেওয়া কী ভাবে সম্ভব?’’ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ীর সামনে আসতেই ৬ জন চাকরিহারা প্রতিনিধিদের কাছে বৈধ কোনও অনুমতি পত্র না থাকায় তাঁদের আটক করে পুলিশ। তবে রবিবার কালীঘাটে আসলে পুলিশ আটক করেনি তিন জন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের প্রতিনিধিদের। চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষিকা সঙ্গীতা সাহার জানান,” বৃহস্পতিবার যখন আমরা এখানে আসি তখন কালীঘাট থানায় আমাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আমাদের সমস্ত ডিটেলস নেওয়া হয়। বেশ কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তারপর একটি লিখিত নিয়ে আমাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। সেদিন আমরা জানতে পারি রবিবার ম্যাডাম(মুখ্যমন্ত্রী)-র দরবার বসে, সেই দরবার বসে শুনেই আমরা আজকে এই প্রচেষ্টা করেছিলাম। যদি ওনার সাক্ষাৎ পায়। এখানে এসে আমরা মিলন সংঘ ক্লাব পর্যন্ত পৌছাতে পেরেছিলাম। ওখানে যে সমস্ত সিএমও অফিসাররা আছেন তাদের সাথে কথা হয়েছে এবং তাদের হাতে আমরা কাগজপত্র তুলে দিয়ে আসতে পেরেছি। মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়নি। সিএমও অফিসাররা ফোন নাম্বার নিয়েছেন। বললেন ম্যাডাম( মুখ্যমন্ত্রী)-কে জানাবো আমরা। তিনি যদি বলেন দেখা করবেন তাহলে ফোন করে ডেকে নেব। ” রবিবার সঙ্গীতা সাহা, মিতা সরকার, নির্মল বারকান্দজ এই তিনজন যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকা গিয়েছিলেন। তাঁরা তাঁদের সমস্ত ডকুমেন্টস সিএমও অফিসারদের দিতে পেরেছেন। তবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয়নি তাঁদের।