মানুষের টাকা এই ভাবে নষ্ট করে কার্যত দুর্নীতিকে প্রোটেকশন দেওয়া হচ্ছে ! সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি যাওয়া গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি অশিক্ষক কর্মিদের ভাতা দেওয়া নিয়ে মত হাইকোর্টের বিচারপতির।
ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক- ভাতা দেওয়ার ঘোষণায় প্রশ্ন হাইকোর্টের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গ্ৰুপ সি ও গ্ৰুপ ডি অশিক্ষক কর্মীদের ভাতা দেওয়ার ঘোষণা করে। ভাতা চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা। এই মামলায় এদিন রাজ্যের ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের এজলাসে দুই আইনজীবীর রাখা বক্তব্য এখানে তুলে ধরা হলো।
বিকাশ: সুপ্রিম কোর্টে ইতিমধ্যেই দুটো আবেদন হয়েছে। ৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়। ১৭ এপ্রিল রাজ্য চাকরিহারাদের ডিসেম্বর পর্যন্ত চাকরি থাকার আবেদন করে। তারপর যারা চাকরি হারিয়েছে তাদের একাংশ আবেদন করেছে।
এজি: কারা আবেদন করেছেন দেখুন। এরা ওয়েট লিস্টেড ক্যান্ডিডেট। এটা জনস্বার্থ মামলা নয়। এরা এই স্কিমের সুবিধা পাওয়ার আওতাভুক্ত নয়। শীর্ষ আদালতের নির্দেশেও তা স্পষ্ট। কেউ যদি স্কিম চালুর কারণে প্রভাবিত হয় তাহলে সে মামলা করতে পারে। সুবিধাভোগীরা আপনার কাছে আসেনি। রাজ্য লেজিসলেটিভ পাওয়ার অনুযায়ী স্কিম চালু করতে পারে। তাই অন্তরবর্তী নির্দেশ চাওয়ার কোনও অর্থ হয়না। অনেকগুলি রিভিউ আবেদন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। স্কিম এমনিতেই interim নেচার।
বিচারপতি: আপনারা অর্থের পরিমান নির্দিষ্ট করেননি?? এদের বেতনের ভিত্তিতে কি?? কতজন সুবিধাভোগী? এরা কি বাড়িতে বসেই টাকাটা পাবে? যতদিন না সুপ্রিম। কোর্ট সিদ্ধান্তে আসে ততদিন এরা বাড়িতে বসে থাকবে টাকা পাবে?? এরা কাজ করবেনা টাকা পেয়ে যাবে? আপনার মতে আবেদনকারী কারা হতে পারে?
বিকাশরঞ্জন: চাকরি বাতিলের পর সকলেই একই স্তরে নেমে এল। তাই আবেদন করা যাবেনা এটা বলা যায়না। আর্টিকেল ১৬২ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পরিবর্তন কি করে আনা যায়? এই স্কিম যারা বেআইনিভাবে নিযুক্তদের সুবিধা দেওয়ার জন্য। রাজ্য কি ভাতার নাম দুর্নীতিকে আপস করতে পারে? জনগণের টাকা এই ভাতা দেওয়ার যথার্থতা কোথায়? দুর্নীতিকে রক্ষা করার চেষ্টা? এই স্কিমে স্টে দেওয়া হোক।