আন্দোলন। অপেক্ষা। তারপর শুরু হয়েছে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া। তবে বহু কাঙ্ক্ষিত এই চাকরি করার সুযোগ পেয়েও তাতে অনীহা। নিয়োগপত্র হাতে নিয়েও শিক্ষকতার চাকরিতে যোগ দিলেন না ৫০০ জনেরও বেশি চাকুরিপ্রার্থী।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক- শিক্ষকতা করতে অনীহা! তাই নিয়োগপত্র হাতে নিয়েও চাকরিতে যোগ দিলেন না ৫০০ জনের বেশি চাকুরিপ্রার্থী? যাতে অবশ্যই অবাক শিক্ষকমহল। ১২বছর অপেক্ষার পর শুরু হয়েছে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া। দীর্ঘ অপেক্ষা করেও চাকরিতে অনীহা তাঁদের। স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রের খবর, এরা কাউন্সেলিং এর উপস্থিত থেকে নিয়োগপত্র হাতে পান। তারপর আর চাকরিতে যোগদান করেন নি।
২০২৪ সালে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে শুরু হয় উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া। হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল যে এসএসসিকে চার সপ্তাহের মধ্যে ১৪,০৫২ জনের চাকরি সুনিশ্চিত করে মেধা তালিকা প্রকাশ করতে হবে। ১৪০৫২ জনের মধ্যে পরে ৯৬ জন চাকুরিপ্রার্থীর নাম বাতিল হয় জাতিগত এবং শিক্ষাগত কিছু গরমিলের কারণে। মেধাতালিকা প্রকাশের পর ধাপে ধাপে কাউন্সেলিং শুরু করে কমিশন।দফায় দফায় কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে সুপারিশপত্র দেওয়া শুরু হয় চাকুরিপ্রার্থীদের। ইতিমধ্যে ষষ্ঠ দফার কাউন্সেলিং সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। এবার সপ্তম দফার কাউন্সেলিং হবে। এখনও ১৪১০ জনের কাউন্সেলিং বাকি রয়েছে। যা খুব দ্রুতই শুরু হবে।
ষষ্ঠ দফা কাউন্সেলিং পর্যন্ত ৫০০ জনেরও বেশি চাকুরিপ্রার্থী তাঁরা চাকরিতে যোগ দেননি। চাকরিতে যোগ না দেওয়ার কারণ পোস্টিং লোকেশন’ বা কর্মক্ষেত্রের স্থান নির্বাচন নিয়ে অসন্তুষ্ট চাকুরিপ্রার্থীরা । কাউন্সেলিং এর পর প্রান্তিক এলাকার স্কুলে নিযুক্ত হওয়ার জন্য বা সংশ্লিষ্ট স্কুল পছন্দ না হওয়ার জন্য তাঁরা অনেকেই কাজে যোগ দিচ্ছেন না। যে জেলার যে এলাকায় তাঁদের পোস্টিং হয়েছে সেখানকার সংশ্লিষ্ট স্কুল থেকে নিয়োগপত্র সংগ্রহ করেও চাকরিতে যোগ দিচ্ছেন না চাকুরিপ্রার্থীরা। নিয়োগপত্র হাতে নিয়ে যে কাজে যোগ দিচ্ছেন না শুধু তাই নয়, কাউন্সেলিং-এর সময়ও দেখা যাছে ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের অনুপস্থিতি এবং প্রত্যাখ্যানের সংখ্যাটাও অনেক বেশি। এভাবে চাকরিতে যোগদান না করায় স্কুলে শিক্ষকের অভাব কিভাবে পূরণ হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষকমহলের একাংশ। এই শূন্য স্থান কী ভাবে পূরণ করা হবে তা এখনও স্পষ্ট করেনি স্কুল সার্ভিস কমিশন।