বাংলাদেশের নতুন টাকায় মুজিবুর রহমানের ছবি না রেখে বঙ্গবন্ধুর চরম অপমান আগেই করেছেন প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। এবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল হয়ে গেল। এর অর্থ দাঁড়াল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পথিকৃত মুজিব আর ‘মুক্তিযোদ্ধা’ নন। মুজিবুর রহমানের পাশাপাশি ৪০০-র বেশি নেতার স্বীকৃতি কেড়ে নিল ইউনুসের প্রশাসন। মঙ্গলবার রাতে এই সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে।
মাম্পি রায়, সাংবাদিক- বঙ্গবন্ধু, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ-সহ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী চারশোর বেশি রাজনীতিবিদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিলের প্রস্তাবে সিলমোহর দেওয়া হল। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ৯৪তম সভায় এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। ১০ মার্চ সংশ্লিষ্ট খসড়ায় স্বাক্ষর করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। সংশোধনীতে মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি আরও চার শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধাদের ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’হিসেবে সনদ বাতিল করা হয়।
খসড়ায় বলা হয়েছে, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা তাঁরাই থাকবেন, যাঁরা অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন। রাজনীতিবিদরা সরাসরি যুদ্ধ করেননি, তাই তাঁদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল করে নতুন পরিচয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টিকে মর্যাদা কমানোর মতো করে না দেখাই ভালো। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে আরও সুনির্দিষ্ট করতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মহম্মদ ইউনুসের প্রশাসন।
আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর শেখ হাসিনার দলকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বাংলাদেশে। বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের মূর্তি ভাঙচুরের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত সমস্ত ইতিহাস বিকৃত করার নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে ইউনুসের প্রশাসন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি হলের নাম রাখা হয়েছে কুখ্যাত রাজাকার ফজলুল কাদের চৌধুরীর নামে। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান কেড়ে নিয়ে রাজাকারদেরকেই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে অন্তর্বর্তী সরকার। এভাবেই কি ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করছেন ইউনুস? নাকি গোটা বিশ্বের সামনে নিজেকে হাসির পাত্র করছেন ?