ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক- কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ না মানায় ভৎসনা বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী র। এন আই এ কে শেষ সুযোগ দিল আদালত। তদন্তকারী অফিসার কি মনে করছে যে হাইকোর্ট তাকে কিছু করতে পারবেনা? তাহলে সে ভুল করছে এটা আদালত অবমাননা শামীল মন্তব্য বিচারপতির। ৯ জুলাই এর মধ্যে তদন্ত সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করতে হবে কলকাতা হাইকোর্টে। না হলে তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করবে কলকাতা হাইকোর্ট।
২০১৮ সালে দাড়িভিটের শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল হয়। পুলিশ গুলি চালায়। পুলিশের গুলিতে নিহত হয় দুই যুবক।
মৃত দুই যুবকের পরিবারের আইনজীবী পার্থ ঘোষ:–
ওই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে এক যুবক যে ওই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র যে তার বোনকে উদ্ধার করতে যায়। পুলিশের গুলিতে সে নিহত হয়। অন্যদিকে ওই ঘটনার সংলগ্ন একটি মিষ্টির দোকানে দাঁড়িয়ে থাকা যুবকেরও মৃত্যু হয় পুলিশের গুলিতে। ঘটনা সঙ্গে পুলিশ আধিকারিকরা যুক্ত থাকায় সঠিক তদন্ত হচ্ছে না এই আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় পরিবার।
পরিবারের পক্ষ থেকে কুড়ি লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়। একক বেঞ্চ সেই ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেয়। কিন্তু সরকার ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে চায়। পরিবার প্রত্যাখ্যান করে। পাশাপাশি একক বেঞ্চ ঘটনার গুরুত্ব বুঝে এনআইএ তদন্তের নির্দেশিকা জারি করে।
এই রায়কেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানায় রাজ্য।
ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ ৩ এপ্রিল ২০২৪ নির্দেশ জারি করেছিল তিন সপ্তাহের মধ্যে এনআইএকে তদন্ত সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করতে হবে হাইকোর্টে।
এদিন এনআইয়ের পক্ষে আইনজীবী রিপোর্ট পেশের জন্য তিন সপ্তাহ সময় চাইলে বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তীর মুখে পড়ে।
এন আই এর আইনজীবী অরুন কুমার মাইতি:–
আমাদের তিন সপ্তাহ সময় দেওয়া হোক আমরা তদন্ত সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে পেশ করব।
বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী:–
প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও এক বছরের উপর হয়ে গেল এখনো তদন্তের রিপোর্টের জন্য কেন সময় চাওয়া হবে? আপনার তদন্তকারী অফিসার কি করছে? তদন্তকারী অফিসার কি মনে করছে যে হাইকোর্ট তাকে কিছু করতে পারবেনা? তাহলে সে ভুল করছে এটা আদালত অবমাননা শামীল। ৯ জুলাই মামলার শুনানি গ্রহণ করা হবে তার মধ্যে যদি তদন্তকারী অফিসার তদন্ত সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ না করে তাহলে তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে হাইকোর্ট।