নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক
বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে চলছে অনশন। হকের চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবিতে চলছে আমরণ অনশন। চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের ১০জন প্রতিনিধি এই অনশনে সামিল। তবে রবিবার অনশনকারী বলরাম বিশ্বাস গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। বাকী অনশনকারীদের শরীর ধীরে ধীরে খারাপের পথে গেলেও তাঁরা অনশনে অনড়।
যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ, ওএমআর শিটের মিরর ইমের প্রকাশ সহ রিভিউ পিটিশন না হওয়া পর্যন্ত নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার ফর্ম ফিলআপ করা বা পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। এই দাবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করগে চান আন্দোলনকারীরা।এই দাবিকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে অনশনে বসেছেন মিতা সরকার,চিন্ময় মন্ডল, কৌশিক সরকার, বলরাম বিশ্বাস,সুকুমার সরেন, বিকাশ রায়, মানিক মজুমদার, কিশোর কুমার রায়, অনির্বাণ সাহা, অচিন্ত্য দাস। কয়েকজন অনশনকারীর স্বাস্থ্যে সমস্যা দেখা দিয়েছে। বলরাম বিশ্বাসের শারীরিক অবনতি হওয়ায় তাঁকে আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত,চলতি সপ্তাহের গত বৃহস্পতিবার এসএসসি ভবন অভিযানে সামিল হন চাকরিহারারা। তারপর এদিন নিজেদের দাবি নিয়ে চাকরিহারাদের ৮ জনের একটি প্রতিনিধি দল বিকাশ ভবনে এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের সঙ্গে বৈঠক করেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে গত ৩০ মে পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এসএসসি। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আগামী ১৬ জুন থেকে শুরু হচ্ছে অনলাইন ফর্ম ফিল আপ প্রক্রিয়া। চলবে ১৪ জুলাই পর্যন্ত। সেই তারিখ যাতে পিছিয়ে দেওয়া হয় চাকরিহারাদের পক্ষ থেকে বৈঠকে সেই দাবি জানানো বৃহস্পতিবার এসএসসির চেয়ারম্যানের কাছে। কিন্তু বৈঠক শেষে চাকরিহারাদের প্রতিনিধিরা জানান, “মেলেনি কোনও সমাধান সূত্র”। তারপর থেকেই তাঁরা অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নেন।
জোড়া ঘূর্ণাবর্তে রবিবার থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায়। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে সেন্ট্রাল পার্কের সামনে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন চাকরিহারারা। রবিবার বৃষ্টির জেরে নাজেহাল হতে হয় অনশনকারী সহ আন্দোলনকারীদের। অবস্থানের জায়গায় প্রশাসনের তরফ থেকে কোনও রকম সুব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন আন্দোলনকারীরা। তবে যাই হোক মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা অনশন চালাবেন বলে জানিয়েছেন।