ভারতের কাছে এতবড় ধাক্কা খেয়েও পাকিস্তানের কোন বদলই ঘটেনি। এবার পাকিস্তানে থাকা হিন্দুদের ওপর ধর্মীয় আক্রমণ করতে জোর করে মন্দিরের জমি দখল করে নেওয়া হচ্ছে। কাশ্মীরে হামলার সময়েও বেছে বেছে হিন্দু নিধনই করা হয়েছিল এবার আরও একবার সেই হিন্দু ধর্মের ওপরই আক্রমণ।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিকঃ অপারেশন সিদুর দিয়ে পাকিস্তানের একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত। তারপরেও প্রত্যাঘাতের চেষ্টা করলেও পাকিস্তান তার জবাব পেয়েছে। কিন্তু তারপরেও পাকিস্তান নিজের নির্লজ্জ আচরণ এতটুকুও বদলায়নি তার প্রমাণ হিসাবে এবার আরও একবার হিন্দু ধর্মের দিকে হাত বাড়িয়েছে পাকিস্তান। এবার পাকিস্তানে থাকা মন্দিরের জমি দখল করে অবৈধ নির্মাণ করা হচ্ছে।
যেরকম জানা যাচ্ছে যে, পাকিস্তানের হায়দ্রাবাদ শহরে একটি মন্দিরের প্রায় ছ’একর জমি জবরদখল হয়ে গিয়েছে। এরই প্রতিবাদে করাচি থেকে প্রায় ১৮৫ কিলোমিটাকর দূরে মুসা খতিয়ান জেলার তান্দোজাম শহরে বিক্ষোভে শামিল হন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন। তাঁদের অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই পাকিস্তান আরও একবার হিন্দু ধর্মের দিকে হাত বাড়াচ্ছে, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ তৈরি করে ধর্মীয় উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য। ইতিমধ্যেই এই বিষয়টা নিয়ে পাকিস্তানে বসবাসকারী হিন্দুরা তীব্র আন্দোলন শুরু করেছেন। তাঁদের সাফ কথা কোন রকমেই পাকিস্তানের এই অন্যায় তাঁরা মেনে নেবেন না। তাঁরা সিন্ধুর প্রভাবশালী কাশখেলি সম্প্রদায়ের অন্তর্গত বলে জানা গিয়েছে ৷
এক আন্দোলনকারী শীতল মেঘওয়ার বলেছেন, “মন্দিরের জমি দখল করে অবৈধ নির্মাণ শুরু করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। এরই প্রতিবাদে সমস্ত হিন্দুরা একজোট হয়েছেন৷” রামসুন্দর নামে আরও এক আন্দোলনকারীর বক্তব্য, “অবৈধভাবে মন্দিরের আশেপাশে নির্মাণ করা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”এদিকে মন্দিরের জমি দখল ও অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে সরকারের কাছে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান বিক্ষোভকারীরা। কিন্তু সেই দাবীতে কতটা কান দেবে পাকিস্তান সরকার সেই নিয়ে আন্দোলনকারীরাও সন্দিহান।
শুধু যে মন্দিরের জমি দখল তাই নয় এর পাশাপাশি নির্মাতারা শিব মন্দিরে প্রবেশের পথগুলিও বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ । আর তার জেরে সাপ্তাহিক প্রার্থনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে হিন্দুদের জন্য৷ পাকিস্তান দলিত ইত্তেহাদ প্রধান শিবা কাচি বলেন, “পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে একাধিকবার কিন্তু সত্ত্বেও কোনও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া তো অনেক দূরের ব্যাপার বিষয়টিকে গুরুত্বই দেওয়া হয়নি । জমি মাফিয়াদের রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে চাইছে না । যদি সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসন এই বিষয়ে নজর না দেয়, তাহলে আমরা পরবর্তী সময়ে হায়দ্রাবাদ শহরে বিক্ষোভ করব এবং ন্যায়বিচারের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হব।”