দীর্ঘ দশ বছর ধরে রাস্তার উন্নয়নে কোনো কাজ হয় নি। বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য থাকার ফলে প্রশাসনও কোনো কাজ করে নি বলে অভিযোগ। এমনকি রাজ্যের মন্ত্রীর পরিবারের লোকজনের যাতায়াতের রাস্তা হওয়া সত্বেও সেই রাস্তার কোনো কাজ করা হয় নি। ফলে এলাকাবাসীরা এবার ব্লক ও থানা ঘেরাওয়ের ডাক দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ঘটনা মালদহের হরিশচন্দ্রপুরের।
বিশ্বজিৎ মন্ডল, মালদহ– দীর্ঘ দশ বছর ধরে কোনো রকম সংস্কারের কাজ করা হয় নি। ফলে রাস্তা ভেঙেচুরে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। একটু বৃষ্টিতেই সেই গর্তে জল জমে কার্যত ডোবার চেহারা নিচ্ছে। সেই ডোবাতেই টোটো উল্টে গুরুতর জখম হয়েছেন এক মহিলা। তারপরেই এই বেহাল রাস্তার ছবি সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল করেছেন এলাকাবাসী। ঘটনাটি মালদহ জেলার হরিশচন্দ্রপুর ১ ব্লকের পিপলা উত্তরপাড়া। রাজ্যের মন্ত্রী তাজমুল হোসেন এর এলাকা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, হরিশচন্দ্রপুর সদর সহ ব্লক অফিস, থানা, হাসপাতাল, কলেজ, সব জায়গায় যাওয়ার জন্য এই একমাত্র রাস্তা। কিন্তু তাদের গ্রামের বুথের পঞ্চায়েত সদস্য হলো বিজেপির। গ্রামবাসীদের অভিযোগ এই কারণে প্রশাসনকে বারবার বলা সত্বেও এই রাস্তা সারানো হয় নি। একদিকে যখন মুখ্যমন্ত্রী ‘পথশ্রী’ প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের হাজার হাজার রাস্তা সংস্কার ও নতুন করে তৈরি করার কথা বলছেন, তখন শুধুমাত্র বিরোধী দলের পঞ্চায়েত প্রধান হওয়ার কারণে এই রাস্তা সারানো হচ্ছে না বলেই অভিযোগ এলাকাবাসীর। তাদের আরো অভিযোগ খোদ রাজ্যের মন্ত্রীর পরিবারের লোকজন এই রাস্তা ব্যবহার করেন, কিন্তু তা সত্বেও রাস্তা সারাইয়ের কাজ হয় না।
স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী তাজমুল হোসেনও ভাঙাচোরা এই রাস্তার বিষয়ে অবগত বলেই গ্রামবাসীদের দাবি। তবে মন্ত্রী মশাইয়ের বক্তব্য রাস্তার হাল এত খারাপ সেটা তাঁকে কেউ জানায় নি। এই সমস্যার কথা তাঁকে আগে জানালে এতদিনে রাস্তা সংস্কার হয়ে যেত। এখানে রাজনীতির কোনো বিষয় নেই। মন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, দ্রুত রাস্তা সংস্কার করা হবে। তবে গ্রামবাসীরা পরিষ্কার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, দ্রুত রাস্তা সংস্কার না হলে তারা থানা ও ব্লক অবরোধ করবেন।