কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং এর তালিকায় রাজ্যের কোন কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

প্রতি বছরের মত এবারও প্রকাশিত হল কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং এর তালিকা। বিশ্বের দরবারে এবার ভারত তথা বাংলার জয়জয়কার। এই তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ভারতের ৫৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যার মধ্যে বেশ কয়েকটি এই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যলয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে।

নাজিয়া রহমান সাংবাদিক

প্রকাশিত হল ২০২৬ সালের কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং তালিকা। এবার এই র‍্যাঙ্কিং এ বিশ্বের ১,৫০০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানকে স্থান দেওয়া হয়েছে। আমেরিকা, ইংল্যান্ড, চীনের পর ভারত রয়েছে এই র‍্যাঙ্কিং-এ। এই তালিকায় ভারতের ৫৪ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। ভারতের ৫৪ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেশ কয়েকটি পশ্চিমবঙ্গের প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

২০২৬ সালের কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং তালিকায় কিছুটা উপরের দিকে উঠেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। গত বছর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাঙ্ক ছিল ৭২১-৭৩০-এর মধ্যে। এ বার সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাঙ্ক ৬৭৬। অন্যদিকে তালিকায় কিছুটা পিছিয়ে গেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। গত বছর যেখানে তাদের র‍্যাঙ্ক ছিল ৭৫১ থেকে ৭৬০-এর মধ্যে। সেখানে এ বার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম রয়েছে ৭৭১ থেকে ৭৮০-এর মধ্যে। পরের বার যাতে আরও ভালো ফল হয় সেই চেষ্টা করা হবে বলে মত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকদের। অন্যদিকে রাজ্যের অন্যতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আইআইটি খড়গপুর র‍্যাঙ্কিং তালিকায় এগিয়েছে। গতবার আইআইটি খড়গপুর র‍্যাঙ্কিং ছিল ২২২ তম স্থানে এবার তা কিছুটা উঠে এল। এবারে আইআইটি খড়গপুর র‍্যাঙ্কিং ২১৫ তম। বিড়লা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্স-এর গত বছরের র‍্যাঙ্ক ছিল ৮০১ থেকে ৮৫০-এর মধ্যে। এবার বেশ খানিকটা উপরে উঠে তারা কিউএস র‍্যাঙ্কিং তালিকার ৬৬৮-তম স্থানে রয়েছে।

এই ওয়ার্ড র‍্যাঙ্কিং এ দেশের মধ্যে শীর্ষ স্থানাধিকারী আইআইটি দিল্লি। তাদের র‍্যাঙ্কিং ১২৩ তম। এর পর আইআইটি মুম্বই রয়েছে ১২৯ তম স্থানে এবং আইআইটি মাদ্রাজ রয়েছে ১৮০ তম স্থানে।

এখন প্রশ্ন আন্তর্জাতিক মানের এই র‍্যাঙ্কিং কিসের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে তালিকাণিক্ত করা হয়? মূলত যেগুলো দেখা হয়, কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত কত? পঠন-পাঠনের ক্ষেত্রে কতটা সুনাম অর্জন করেছে?শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা যে সব সংস্থায় চাকরি পান সেগুলির মান কেমন, প্রতিটি গবেষণাপত্রের সাইটেশন কত, আন্তর্জাতিক শিক্ষক এবং পড়ুয়ার সংখ্যা কত সবকিছুর উপর বিচার করেই এই তালিকা প্রকাশ করা হয়।