সোশ্যাল মিডিয়ার ক্রাউড ফান্ডিং মঞ্চকে ব্যবহার করে মেয়েকে বাঁচানোর আর্তি জানান অস্মিকার অভিভাবকরা। সেই আবেদনে সারা দিয়েছেন দেশ-বিদেশের অসংখ্য মানুষ। সেই অর্থ সাহায্যের ফলেই বুধবার জীবনদায়ী ইঞ্জেকশন পেল অস্মিকা।
মাম্পি রায়, সাংবাদিক- অবশেষে অনিশ্চয়তার অন্ধকার সরিয়ে আশার আলো দেখলেন অস্মিকার মা-বাবা। রানাঘাটের এই শিশুটির সাহায্যে ত্রাতার ভূমিকায় উঠে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়া। কারণ সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই ১৬ কোটি টাকা জোগাড় করা গিয়েছে। প্রায় এক বছর আগে ১৬মাস বয়সের কন্যাসন্তান অস্মিকার রোগের চিকিৎসা করতে গিয়ে মাথায় কার্যত বাজ পড়ে অস্মিকার মা-বাবার। কিন্তু তবুও হাল ছাড়েননি তাঁরা।
সোশ্যাল মিডিয়ার ক্রাউড ফান্ডিং মঞ্চকে ব্যবহার করে মেয়েকে বাঁচানোর আর্তি জানান অস্মিকার অভিভাবকরা। সেই আবেদনে সারা দিয়েছেন দেশ-বিদেশের অসংখ্য মানুষ। সেই অর্থ সাহায্যের ফলেই বুধবার জীবনদায়ী ইঞ্জেকশন পেল অস্মিকা। এর ফলে অস্মিকার বাবা-মা’র মুখে যেমন হাসি ফুটেছে। তেমনই হাসি ফুটেছে সেইসব অসংখ্য নেটিজেনদের মুখে, যাঁরা অস্মিকার সাহায্যে এগিয়ে এসেছিলেন। অস্মিকার বাবা জানিয়েছেন, “মেয়ের ৬ মাস বয়সে রোগটা ধরে পড়েছিল। ইঞ্জেকশনের জন্য ক্রাউড ফান্ডিং ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে কনটেন্ট ক্রিয়েটার, সবাইকে আবেদন করা হয়েছে। সবার আর্শীবাদে আজকে এই দিনটা দেখতে পাচ্ছি। এরকম বিরল রোগে আক্রান্ত শিশুগুলোকে সরকার সাহায্য করলে, গরিব মানুষ উপকৃত হবে। ”
স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রফি হল একটা জেনেটিক ডিসঅর্ডার। এই রোগেই আক্রান্ত হয়েছিল অস্মিকা। এই রোগ মূলত জিনগতভাবে হয়। স্নায়ু এবং পেশীকে টার্গেট করে। হাত-পায়ের স্নায়ু ও পেশী ক্রমশ শিথিল হতে থাকে। দু’বছরের কম বয়সের শিশুদের জন্য একটি ইঞ্জেকশন দিতে হয়। যার দাম ১৬ কোটি টাকা।
অস্মিকা মতোই এসএমএ রোগের সঙ্গে লড়াই করছে সোনারপুরের হৃদিকা দাস। তাঁরাও সাহায্যের জন্য আর্তি জানিয়েছেন নেটিজেনদের। এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ১১ লক্ষ টাকা উঠেছে। মোট ৯ কোটি টাকা প্রয়োজন। এখন হৃদিকার ১৪ মাস বয়স। আর ৬-৭ মাসের মধ্যে ওই ইঞ্জেকশন না দিলে বাঁচানো যাবে না হৃদিকাকে। তাই অস্মিকার মতো হৃদিকার জন্যও এগিয়ে আসুন এবং ফুটফুটে শিশুটিকে জীবন দান করুন।